সংক্ষিপ্ত

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। ভিডিওটিতে পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর নৃশংস অত্যাচারের দৃশ্য প্রকাশ্যে আসে।

নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে কালিয়াগঞ্জে। থানায় ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। এবার প্রকাশ্যে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও। আন্দোলনের নামে পুলিশকর্মীকে বেধরক মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় বিক্ষোভকারীদে। উন্মত্ত জনতা চড়াও হয় থানায়। থানায় ভাঙচুর করার পাশাপাশি আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। ভিডিওটিতে পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর নৃশংস অত্যাচারের দৃশ্য প্রকাশ্যে আসে।

ভিডিওটিতে ২০-২৫ জন পুলিশকর্মী প্রাণভয় পালাতে দেখা যায়। স্থানীয়দের কাছে আশ্রয় দেওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করতে থাকেন বলেও দাবি করা হচ্ছে। তবে থানা থেকে পালিয়ে এলেও শেষ রক্ষা হয়নি। স্থানীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানে ঢুকেও পুলিশকর্মীদের ব্যাপক মারধর করে বিক্ষোভকারীরা। সূত্রের খবর স্থানীয়দের ঘরে ঢুকে লাঠি, রড, পাথর , ইট দিইয়ে বেধরক মারধর করা হয় পুলিশকর্মীদের। ভিডিওটিতে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক পুলিশকর্মী মেঝেতে বসে প্রাণ ভিক্ষা চাইছেন বিক্ষোভকারীদের কাছে। পুলিশকর্মীদের আশ্রয় দেওয়া বাড়িগুলিতেও ভাঙচুড় চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

রাজবংশী কিশোরীর ধর্ষন ও খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারি ও কঠোর শাস্তির দাবিদে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামে তফসিলি ও আদিবাসী সংগঠন গুলির সমন্বয় কমিটি। ফের পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি পাঁচিলও। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। ফের শুরু হয় পুলিশ বনাম বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ। বিক্ষোভকারীদের রুখতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ। মঙ্গলবার কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয় এলাকা।

মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছল বের করে রাজবংশী তফসিলি ও আদিবাসী সংগঠন। কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ছোড়া হয় ইট পাটকেলও। এমনকী পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইট ছোড়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটানো হয়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।