- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- দুর্গাপুজোর অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা কোথায় খরচ হবে? চিন্তায় ঘুম উড়ছে পুজো কমিটির, রয়েছে অনেক বিধি-নিষেধ
দুর্গাপুজোর অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা কোথায় খরচ হবে? চিন্তায় ঘুম উড়ছে পুজো কমিটির, রয়েছে অনেক বিধি-নিষেধ
পুজো অনুদান হিসেবে রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই টাকা খরচের কতগুলি শর্ত রয়েছে। জানুন কোন কোন খাতে অনুদানের টাকা খরচ করা যাবে ।
- FB
- TW
- Linkdin
দুর্গাপুজোর অনুদান
মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোর অনুদান ঘোষণা করেছেন। এবার রাজ্যের ৪৩ হাজার ক্লাবকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
কলকাতার ৩ হাজার ক্লাব
পুজো অনুদান হিসেবে রাজ্যের ৪৩ হাজার ক্লাবকে বেছে নিয়েছে সরকার। যারমধ্যে কলকাতার ক্লাবের সংখ্যা ৩ হাজার । বাকি ৪০ হাজার জেলার পুজো।
অনুদানের টাকা
গত বছর পর্যন্ত ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই টাকা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। আগামী বছর অনুদানের টাকা করা হবে ১ লক্ষ টাকা।
অনুদানের সঙ্গে ফ্রি
৮৫ হাজার টাকা অনুদানের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা।স তবে পুজো কটিমিগুলিকে কতগুলি শর্ত দিয়েছে।
শর্ত না মানলে
শর্ত না মানলে আগামী বছর পুজো কমিটিকে কালোতালিকাভুক্ত করা হবে। আগামী বছর অনুদান বাতিল করা হবে।
অনুদান নিয়ে চিন্তা
এবার বিশাল অঙ্কের অনুদান নিয়ে চিন্তা বাড়ছে পুজো কমিটিগুলির। কারণ অনুদানে নিয়ম। কারণ অনুদানের টাকা কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যায় করা যাবে না তার স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে।
অনুদানের টাকা খরচ
সরকারের দেওয়া দুর্গাপুজোর অনুদানের টাকা পুজোয় ব্যয় করা যাবে না।
পুজোর কাজে অনুদানের টাকা খরচ নয়
প্রতিমা কেনা থেকে শুরু করে পুজোর কোনও কাজে যেমন- প্রতিমার শাঁখা , সিঁদুর, দশকর্মার জিনিস কেনার কাজেও ব্যবহার করা যাবে না। অনুদানের টাকা দেওয়া যাবে না পুরোহিতকেও। ঢাঁকির খরচও অনুদানের টাকায় মেটানো যাবে না।
অনুদানের টাকা খরচ
অনুদানের টাকা খরচ করতে হবে জনকল্যাণমূলক কাজে। মানুষের স্বার্থে টাকা খরচ হয়েছে তাই দেখাতে হবে জমা দেওয়া নথিতে।
সমস্যায় পুজো কমিটিগুলি
অনুদানের বিশাল অঙ্কের টাকা কোথায় খরচ করবে তাই নিয়ে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে পুজো কমিটিগুলি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া অনুদানের কারণে পুজোর জন্য চাঁদা তোলার চাপ অনেকটাই কমে যায়। বদলে বিল তৈরি আর হিসেব দেখানোর চাপ বাড়ে।