- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- কে নওশাদ সিদ্দিকি? যার দাপটে কাঁপছে ভাঙড়, জানুন ISF নেতার সম্পত্তির পরিমাণ
কে নওশাদ সিদ্দিকি? যার দাপটে কাঁপছে ভাঙড়, জানুন ISF নেতার সম্পত্তির পরিমাণ
ভাঙড়ের নতুন নেতা বলা যেতেই পারে। তাঁর দাপটে রীতিমত ঘুম ছুটেছে ভাঙড় আর ক্যানিং-এর দুই পোড় খাওয়া তৃণমূল নেতা আরাবুল আর সওকত মোল্লার। তিনি আইএসএফএর একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
| Published : Jun 15 2023, 05:54 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
প্রথম ভোটেই বাজিমাৎ
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে পর্যন্ত রাজ্য রাজনীতিতে অপরিচিত নাম ছিল নওশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু তারপর থেকে দিন যত বাড়ছে ততই আলোচনার সামনের সারিতে আসছেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি ভাঙড়ের বিধায়ক।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাপট
বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর থেমে থাকেননি নওশাদ সিদ্দিকি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও নিজের ক্যারিশ্মা দেখাতে শুরু করেছেন নওশাদ। ২৯-৩০ বছরের তরুণ তুর্কী নিজের কেন্দ্র ভাড়ের পাশাপাশি ক্যানিংএরও দায়িত্ব নিয়েছেন দলের।
নওশাদের পরিচিতি
১৯৯৩ সালে জন্ম। বাবা আলি আকবর সিদ্দিকি ছিলেন ফুরফুলা শরিফের ছোট হুজুর পীর জুলফিকার আলির পুত্র। সেই সূত্রে তিনি ফুরফুরা শরিফের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকির চতুর্থ প্রজন্ম।
নওশাদের দাদা
নওশাদের দাদা আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি রাজ্য রাজনীতিতে ভাইজান নামেই পরিচিত। বিধানসভা ভোটের আগেই নতুন দল আইএসএফ বা ইন্ডিয়ান সেকুল্যার ফ্রন্ট। সেই দলেরই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আর একজন বিধায়ক নওশাদ।
নওশাদের পড়াশুনা
২০১৫ সালে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আর্জন করেন নওশাদ।
নওশাদের সম্মত্তি
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কমিশনে দাওয়ার করা হলফনামা অনুযায়ী নওশাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮১০ টাকা। সেই সময় হাতে নগদ ছিল ২৫ হাজার টাকা।
ব্যাঙ্কে নওশাদের টাকা
হলফনামা অনুযায়ী ফুরফুরায় পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কে ছিল ৩ হাজার ৪৬৫ টাকা। অ্যাক্সিক ব্যাঙ্কে ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৩৯ টাকা। ফার্মার্স কো -অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ছিল ৫ হাজার ৮০৬ টাকা। ইন্ডিয়ান ব্য়াঙ্কে ছিল ২০ হাজার টাকা।
গৃহহীন নওশাদ
নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী সেই সময় পর্যন্ত নওশাদের কোনও বাড়ি ছিল না। ছিল না কোনও গাড়িও। তবে জাঙ্গিপাড়ায় দুটি চাষের জমি ছিল তাঁর নামে।
হাজতবাস নওশাদের
নওশাদ জেলে ছিলেন ধর্মতলায় আইএসএফ পুলিশের সংঘর্ষে নওশাদ ও তাঁর দলের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই সময় টানা ৪০ দিন হাজত বাস করতে হয়েছিল নওশাদকে। পরে অবশ্য নিঃশর্ত জামিনে মুক্তি পান তিনি।
আরাবুল আর শওকতকে টক্কর নওশাদের
ভাঙড়ের দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত আরাবুল ও সওকত মোল্লা। কিন্তু নওশাদের উত্থানের পর থেকেই কিছুটা পিছেয়ে আরাবুল বাহিনী। নওশাদের নেতৃত্বে ভাঙড়ে দাপট বেড়েছে আইএসএফ কর্মীরা। একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। অন্যদিকে ক্যানিংএর নওশাদ পা রাখছেন। কারণ একাধিকবার সওকত মোল্লা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। পঞ্চায়েত ভোটে আরও স্পষ্ট হচ্ছে নওশাদের বাড়বাড়ন্ত।