সংক্ষিপ্ত
কৃষ্ণনগরের কাণ্ডে দ্বাদশ শ্রেণির তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনেকর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছেন তাঁর প্রেমিককে
কৃষ্ণনগরের দ্বাদশ শ্রেণির তরুণী খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে একা একাই বেঙ্গালুরু পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন তরুণী। প্রেমিক বেঙ্গালুরুকে কাজ করতেন। সেখনেই তরুণী প্রায় মাসখানেক ছিলেন। তারপর পরিবারের চাপেই কৃষ্ণনগর ফিরে আসেন। পরিবারের সূত্রের তেমনই দাবি করা হয়েছে। তরুণীর পরিবরের জানিয়েছেন, মেয়ের প্রেমিককে তাদের কোনও দিনই পছন্দ ছিল না। সম্পর্কে ভাঙতে পরিবারের সদস্যরাই জোর দিয়েছিল।
কৃষ্ণনগরের কাণ্ডে দ্বাদশ শ্রেণির তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনেকর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছেন তাঁর প্রেমিককে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে. পুলিশ সূত্রের খবর তাঁকে জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য হাতে পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। মৃত মেয়ের মা আগেই বলেছিলেন, মেয়ের সঙ্গে ধৃত তরুণের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক তারা প্রথম থেকেই মেনে নিতে চাননি। কিন্তু পরবর্তীকালে মেয়ের মুখেরদিকে তাকিয়ে সম্পর্কে সায় দিয়েছিলেন। পরিবার সূত্রের খবর শহরের একটি রেস্ততাঁয় তরুণ-তরুণীর প্রথম আলাপ। তারপরই প্রেম।
পরবর্তীকালে ওই তরুণী বেঙ্গালুরুতে চাকরি নিয়ে চলে যায়। তারপর তরুণীও পিছু পিছু বেঙ্গালুরুতে চলে যায়। সেখানে গিয়ে প্রায় এক মাস ছিলেনও। কিন্তু সেই সময় বাড়ির প্রবল চাপের কাছে নতি স্বীকার করে কৃষ্ণনগরে ফিরে আসেন। মৃতার পরিবার সূত্রের খবর ছেলেটি বিয়েতে বেঁকে বসেছিল। জানিয়েছিল পাঁচ বছর আগে বিয়ে করার তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাতেই সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল বলেও দাবি মৃতার পরিবরের।
অন্যদিকে অভিযুক্তের মা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে মৃতা মেয়েটির সম্পর্ক ছিল বলেও চিনি জানতেন। তাঁর ছেলের থেকে টাকা পয়সা নিত মেয়েটি। মেয়েটির সঙ্গে তাঁর ছেলের বিয়ের সম্বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন, তাঁর ছেলের এক বন্ধুর কাছে মেয়েটি ফোন করে কান্নাকাটি করছিল। ছেলের মা আরও বলেছেন, মেয়েটি সেই রাতে তাঁদের বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো আছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের বাড়িতে কোনও দিনই লক্ষ্মী পুজো হয় না। তবে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল কিনা তা তিনি জানেন না বলেও জানিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।