সংক্ষিপ্ত

সাত দফায় ভোট গ্রহণ হবে ভারতে। ভোট গণনা হবে ৪ জুন। তাতেই স্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে সাত দফাতেই।

লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। সাত দফায় ভোট গ্রহণ হবে ভারতে। ভোট গণনা হবে ৪ জুন। তাতেই স্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে সাত দফাতেই। প্রত্যেকটি দফাতেই রাজ্যে কিছু কিছু আসনে ভোট গ্রহণ হবে। বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হবে ১৬ জুন ২০২৪। নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই চালু হয়ে যাবে নির্বাচনী আচরণবিধি। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার কোনও নতুন প্রকল্প ঘোষণা করতে পারবে না। এবার থেকে গুগল-সহ ফেসবুক, টুইটার-সহ সমস্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের নথি জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাবে যাবতীয় প্রচার প্রক্রিয়া।

এক নজরে পশ্চিমবঙ্গে ভোটের নির্ঘণ্টঃ

প্রথম দফা ১৯ এপ্রিল- কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি

দ্বিতীয় দফা ২৬ এপ্রিল- রায়গঞ্জ. বালুরঘাট, দার্জিলিং

তৃতীয় দফা ৭ মে- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর

চতুর্থ দফা ১৩ মে- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর,রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম , বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান - দুর্গাপুর, আসানসোল

পঞ্চম দফা ২০ মে- শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, হুগলি, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ

ষষ্ঠ দফা ২৫ মে- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, কাঁথি , তমলুক, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর,

সপ্তাম দফা ১ জুন- উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, জয়নগর, বসিরহাট, বারাসত, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, দমদম,

 

লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে যথেষ্ট জটিলতা তৈরি হয়েছিল। কারণ নির্বাচনের আগেই দেশের একজন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গয়াল ইস্তফা দেন। আগে থেকেই তৃতীয় নির্বাচন কমিশনের পদ ফাঁকা ছিল। দায়িত্বে ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ও অরুণ গয়াল। তাই দুটি পদ ফাঁকা থাকায় নির্বাচন ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সংবিধান অনুযায়ী তিন নির্বাচন কমিশনারের যৌথ সিদ্ধান্তেই নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া হওয়ার কথা। এই অবস্থায় দ্রুত শূন্যপদ পুরণ করা হয়। মুখ্যনির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। অন্যদুই নির্বাচন কমিশনার হলেন জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধু।