সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার মহেশতলার সারাঙ্গাবাদ যজ্ঞেশ্বরী পাঠশালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মাধ্যমিকের রেজাল্ট আনতে গিয়েছিল আলো দাসের মা কৃষ্ণা দাস। মেয়ে আর নেই কিন্তু মাধ্যমিক পাশের রেজাল্ট আনতে স্কুলে গিয়েই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
মহেশতলার মণ্ডলপাড়ায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে গত মার্চে হওয়া বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তিন জনের। মৃতদের মধ্যে ছিলেন কারখানার মালিক এর স্ত্রী ও পুত্র সঙ্গে অন্য জন বছর ষোলোর মেয়ে আলো দাস। এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল সে। শুক্রবার মহেশতলার সারাঙ্গাবাদ যজ্ঞেশ্বরী পাঠশালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মাধ্যমিকের রেজাল্ট আনতে গিয়েছিল আলো দাসের মা কৃষ্ণা দাস। মেয়ে আর নেই কিন্তু মাধ্যমিক পাশের রেজাল্ট আনতে স্কুলে গিয়েই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
তিনি বলেছেন, মেয়ের রেজাল্টের খবর অনলাইনে নেননি তিনি স্কুলে সরাসরি গিয়েছিলেন রেজাল্ট আনতে। মেয়ে আলো এই স্কুলেই ক্লাস ফাইব থেকে পড়তো। প্রতি বছর কৃষ্ণা দাস মেয়ের হাত ধরে রেজাল্ট নিতে আসতেন। তবে এই বছর তার হাত ধরার জন্য মেয়েটা আর নেই। রেজাল্টের কথা শুনেই মায়ের মন অশান্ত হয়ে ওঠে। তিনি বলেছেন, শুধু ভেবেছি স্কুলে যাবো কি করে? কি করে মেয়েকে ছাড়া নেবো ওর রেজাল্ট? এই রেজাল্ট নিয়ে মেয়েটারও কত আশা ছিল নতুন ক্লাস নতুন বই-খাতা। এখন সব শূণ্য।
আরও পড়ুন- শনিবার সিবিআই অফিসে হাজিরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, কড়া নিরাপত্তা নিজাম প্যালেসে
আরও পড়ুন- ১ লক্ষ ১১ হাজার ছাত্রছাত্রী এবছর মাধ্যমিকে ফেল, এতও বেশি জন অকৃতকার্য হওয়ার কারণ কী?
বাজি কারখানায় ওই বিস্ফোরণ কৃষ্ণা দাসের জীবন তছনছ করে দিয়েছে। বিস্ফোরণের ফলে মেয়ের দেহ বলতে শুধু একটি হাত মিলেছিল। কারণ ঘটনায় এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়েছিল দেহাংশ। কৃষ্ণা দাস বলেছেন মেয়ে আলো নাচ শিখতে চাইত। বড় হয়ে নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্নও দেখতো সে। আজ সব স্বপ্ন অধরা মেয়ে তো আর নেই, শেষ স্মৃতি হিসাবে থাকবে এই মাধ্যমিকের রেজ়াল্ট। আলোর প্রাপ্ত নম্বর মোট ১৮৯।