সংক্ষিপ্ত
ভুল সংশোধন হওয়ার পর আপাত স্বস্তি পেয়েছিলেন ৪ হাজার জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বাকিরাও স্বস্তি পেলেন।
আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অথবা আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। শুক্রবার এমনই আদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশের নির্দেশ জারি করেছে।
২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছিল মোট ৪২,৫০০। এর মধ্যে প্রশিক্ষিত (শিক্ষণের ডিগ্রি বা ডিএলএড থাকা) ৬৫০০ জনকে নিয়ে বরাবরই কোনও বিতর্ক নেই। গত শুক্রবার বাকি ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, নতুন করে ইন্টারভিউ পাশ করলে তাঁরা চাকরি ফিরে পাবেন। না-হলে চাকরি খোয়াতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের রায়ে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, সেই রায়ে সংশোধন হয় মঙ্গলবার। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন যে, ৩৬ হাজার নয়, আপাতত চাকরি যাবে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। ভুল সংশোধন হওয়ার পর আপাত স্বস্তি পেয়েছিলেন ৪ হাজার জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বাকিরাও স্বস্তি পেলেন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা করা হয়। চাকরিহারাদের পক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করে জানান, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেয়নি আদালত। আদালতের নির্দেশেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তাদের কোনও তদন্তের রিপোর্টে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি, যার জন্য ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিতে হবে। তবে শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ তার অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।