সংক্ষিপ্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেছেন, 'বাংলাদেশের আমাদের পরিবার... সম্পত্তি... ও প্রিয়জন আছে। ভারত সরকার এ বিষয়ে যে অবস্থানই গ্রহণ করুক না কেন আমরা তা মেনে নিই.. তবে আমরা বিশ্বের যে কোনও স্থানেই ধর্মের ভিত্তিতে হিংসার নিন্দা জানাই।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজের ও রাজ্য সরকারের এবং দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাইনয়, বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে কথা বলার আবেদনও জানিয়েছেন। মমতা বলেন, 'আমাদের প্রস্তাব কেন্দ্র রাষ্ট্রপুঞ্জেরকাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক।' প্রতিবেশী দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ করার দাবিও জানিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেছেন, 'বাংলাদেশের আমাদের পরিবার... সম্পত্তি... ও প্রিয়জন আছে। ভারত সরকার এ বিষয়ে যে অবস্থানই গ্রহণ করুক না কেন আমরা তা মেনে নিই.. তবে আমরা বিশ্বের যে কোনও স্থানেই ধর্মের ভিত্তিতে হিংসার নিন্দা জানাই। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাই ও প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করুন।'মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বাংলাদেশ নিয়ে সাংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অথবা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বিবৃতিও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন গত ১০ দিন ধরে বাংলাদেশে উদ্বেগজনক বহু ঘটনা ঘটলেও সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার নীরব।
বিধানসভায় আজ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের বিবৃতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান ভুল করে জলসীমা অতিক্রম করায় এ রাজ্যের ৭৯ জন মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশের একটি থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। রাজ্যের তরফ থেকে তাদের আইনজীবী দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তা স্বত্বেও ওই মৎস্যজীবীরা মুক্তি পাননি। আগে কখনোই এরকম ঘটনা ঘটেনি বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। গোটা বিষয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মমতা আরও বলেন, বাংলাদেশী ট্রলার ডুবে যাওয়ার পরে উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের নিরাপদে এ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও এ রাজ্যের বহু মানুষের পরিবার-পরিজন বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে জাতিসংঘের দ্বারস্থ হওয়ার ও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের ঘোষিত নীতি হলো বিদেশ সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থানের সঙ্গে থাকা। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্যরা মিটিং মিছিল করছেন, প্ররোচনা মূলক ভাষণ দিচ্ছেন। বলছেন বাংলাদেশে খাদ্য সহ পণ্য রপ্তানি করতে দেবেন না। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনও এখতিয়ার নেই। কেন্দ্রীয় সরকার এব্যাপারে কোন গাইডলাইন দিলে তবেই এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে বলে তিনি জানান। এটা মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি নয়। আবেদন বা প্রস্তাব হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে বলে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। কপি থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি কথাটা বাদ দিতে হবে>
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।