সংক্ষিপ্ত
বেলঘরিয়ার বাসিন্দা সায়ান বাংলাদেশে গিয়েছিল বন্ধুর বিয়েতে এবং একদল দুষ্কৃতীর হাতে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। সায়ানের মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। সায়ান বলেন, তিনি ঢাকায় এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। যেদিন তাকে ফিরতে হয়েছিল সেই দিনটি ছিল বিপজ্জনক দিন।
সায়ন বলেন, "আমি ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের ঢাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমার এক বন্ধুর বাড়ি আছে। আমার পাসপোর্ট ছিল। আমি সম্পূর্ণ বৈধভাবে সেখানে গিয়েছিলাম। ২৬ তারিখে বাড়ি ফিরব। রাতের ট্রেন ছিল। তারপর বন্ধুটি বলল চল যাই। সকালে হাঁটার জন্য আমরা সাড়ে ৮টায় রওনা দিলাম।"
নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে প্রায় কেঁদে ফেলেন বেলঘরিয়ার বাসিন্দা। তিনি বলেন, "সে সময় বাংলাদেশি মুসলিম যুবকরা আমাকে ঘিরে ধরে এবং প্রশ্ন করে। সে আমাকে বলে যে সে তোমাকে কখনও দেখেনি। তোমার ধর্ম কি? আমি বললাম আমি একজন ভারতীয় হিন্দু। তারপর তারা একেতাকে ডেকে এক কোণে নিয়ে গিয়ে আমার থেকে টাকা চুরি করে। তার পকেট থেকে ফোন বের করার চেষ্টা করলে আমার মাথায় ছুরি ঠেকায়।
সায়ান আরও বলেছেন যে যখন তারা তাকে মারছিল, তখন তারা চিৎকার করছিল, 'ভারতীয় হিন্দু'। ওকে মারো, মারো! মারধরের সময় তারা এসব কথা বলেছিল। ঘটনার পর একবারও কেউ তাকে বাঁচাতে আসেনি বলেও অভিযোগ যুবকদের। যে বন্ধুর বাড়িতে সে গিয়েছিল সে তার সঙ্গেই ছিল। এমনকি এখন সেই বন্ধু এবং তার পরিবার হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন।
সায়ান বলেন, "আমি আগেও তিন-চারবার বাংলাদেশে গিয়েছি। হাসিনা সরকারের আমলে সেখানকার লোকজন অতিথি আপ্যায়ন করত। কিন্তু এখন..." সায়ান আরও বলেন, "আমি যেহেতু ভারতীয়-হিন্দু, আমার বন্ধুর পরিবার আমাকে কেন আশ্রয় দিয়েছে এর জন্য ভয়ে রয়েছে?"