সংক্ষিপ্ত
হাসপাতাল সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণে তাঁকে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে রাতেই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে কালীঘাটের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর কপালে চারটি সেলাই পড়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে মমতার সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন অভিষেক।গুরুতর জখম হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে রাখা হয়েছে উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর ঘরে। মুখ্যমন্ত্রীকে ট্রামা কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। হাসপাতালে সূত্রের খবর কপাল ফেটে জখম হয়েছিলেন তিনি। ক্ষতস্থানে সেলাই সম্পন্ন হয়েছে। রক্তপাত বন্ধ করা করা গিয়েছে। বর্তমানে তাঁর হুঁশ রয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের সব প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণে তাঁকে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রের খবর তাঁর আঘাত কতটা গুরুতর তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ব্লাডপ্রেসার সামান্য বেশি রয়েছে। তবে সিটিস্ক্যানের পর তাঁকে আবারও এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই তৈরি করা হয়েছে একটি মেডিক্যাল বোর্ডও।
মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার সূত্রের খবর, বাড়িতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরিবার সূত্রের খবর বাড়িতে হাঁটতে গিয়ে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। ঘরের মধ্যে শোকেসের কোনায় ধাক্কা লেগে কপালে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। পরিবারের সূত্রের খবর প্রথমে বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। অভিষেকের সঙ্গে পরিবারের বাকি সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিল।
মমতার আরোগ্য কামনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন মমতা দিদির দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থতা তিনি কামনা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীদের মধ্যে। পাশাপাশি বিরোধী শিবিরও মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছেন বিজেপিপ রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অধীর চৌধুরীও মমতার আরোগ্য কামনা করেছেন। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী দেব জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই বৈঠক থামিয়ে দিয়ে স্থানীয় বিশালাক্ষ্মীর মন্দিরে আরোগ্য কামনা করে পুজো দিয়েছেন।