সংক্ষিপ্ত
ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন চেয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি আগের চিঠির প্রসঙ্গে তুলে মনে করিয়ে দিয়েছেন, আগের লেখা চিঠির কোনও উত্তর পাননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ধর্ষণ আইন নিয়ে মোদী লেখা দুই পাতার চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেছেন।
আরজি কর-কাণ্ডে এর আগেই গত ২২ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে তিনি ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন লাগু করার বিষয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। এবার ২৯ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় বার একই ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। দ্বিতীয় চিঠির শুরুতে তিনি আগের চিঠির উত্তর না পাওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দ্বিতীয় চিঠিতে লিখেছেন, 'অত্যান্ত স্পর্শকাতর বিষয়ে লেখা সেই চিঠির কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত আসেনি। ' তবে মমতা জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীর পাশিপাশি কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকেও চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই চিঠির একটি উত্তর পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
আগের চিঠির মত এই চিঠিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ধর্ষণ রুখতে সংসদে নতুন বিল পাশ করানোর কথা বলেছেন। ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। ধর্ষণ রুখতে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বর্তমানে দেশে মহিলাদের ওপর যৌন হেনস্থার ঘটনা বাড়ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠান প্রথম চিঠিতে মমতা ধর্ষণকাণ্ডে ফার্সট্র্যাক কোর্ট গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে যাতে অপরাধীকে সাজা দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করার পক্ষে সওয়ালকরেন। যদিও সেই চিঠির উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই রাজ্যে ১২৩টি ফাস্টট্র্যাক কোর্টের প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাজ্য সরকার অধিকাংশই বাস্তবায়িত করেনি।
গত ৯ অগাস্ট সকালে আজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। চিকিৎসকরে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও তেমন উল্লেখ রয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই মহিলা নিরাপত্তা ও ধর্ষণকাণ্ডে কড়া শাস্তির দাবি উঠেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চিঠি লিখিছেলেন মমতা।