সংক্ষিপ্ত

দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, আসন্ন সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে ভোট প্রচারের কাজ শুরু করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

বঙ্গে ভোটের ঢাকে পড়ে গিয়েছে কাঠি। শাসক- বিরোধী দুই গোষ্ঠীই কোমর বেঁধে রাজনীতির ময়দানে নেমেছে একে অপরের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাঠানো বিশাল বাহিনীও। সরগরম পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের বৈঠকের পর আসন্ন সপ্তাহ থেকেই জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) প্রচারে নামছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

৮ জুলাই দিনটি পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। তার আগে জুন মাসেই প্রত্যেক দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব শেষ হয়েছে। এরপর বাজতে চলেছে প্রচারের দামামা। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, সোমবার, অর্থাৎ ২৬ জুন থেকেই প্রচার কার্য শুরু করতে চলেছেন ঘাসফুল দলনেত্রী। ওইদিন কোচবিহার জেলা থেকে প্রথম জনসভার মাধ্যমে ভোটপ্রচারে শুভারম্ভ হতে চলেছে তাঁর।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বড়সড় পরাজয়ের মুখ দেখেছিল শাসকদল তৃণমূল। বিরোধী গোষ্ঠী বিজেপি সেখানে প্রাধান্য পেয়েছিল যথেষ্ট বেশি। কোচবিহার জেলায় প্রভূত প্রভাব বিস্তার করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটেও উত্তরবঙ্গে নড়বড়ে হয়েছে তৃণমূলের জমি। সেবারেও শাসক গোষ্ঠীকে পেছনে ফেলে হু হু করে এগিয়ে গিয়েছে পদ্ম পক্ষ। ২০২৪ সালে রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা ভোট। তার আগে ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন জেলা ভোটারদের ছবি স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য ঘাসফুল শিবিরের কাছে খুবই জরুরি। সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উত্তরবঙ্গকেই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

দলের অন্দরের খবর অনুযায়ী, ২৫ জুন, রবিবারই কোচবিহারে পৌঁছে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই রাত্রিবাস করে সোমবার, ২৬ জুন থেকে ভোটের প্রচার শুরু করবেন তিনি। এই জেলায় রাজবংশী সম্প্রদায়ের ভোট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্প্রদায়ের ভোটারদের উদ্দেশ্য করে শাসক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন-

Vastu Tips: বাড়ির কোন দিকে কীভাবে টাকা রাখলে হু হু করে বৃদ্ধি পাবে আপনার সঞ্চয়?
Weather News: রাতভর ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, শনিবার কলকাতার তাপমাত্রায় বিরাট পতন
Gold Price: এক ধাক্কায় সোনার দামে বড়সড় পতন, জেনে নিন শনিবারের লেটেস্ট দর