সংক্ষিপ্ত

লালু, মুলায়ম, শারদ পাওয়ারের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে গেলে তৃণমূলকে ভোট দিন। পাটনায় বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে সুর চড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী।

 

দুর্নীতিকে বাঁচিয়ে রাখা আর পরিবারগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই এই বৈঠক। পাটনার বৈঠক রাজনৈতিক দলগুলির সপরিবার গেটটুগেদার ছাড়া আর কিছুই নয়। পাটনায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের বৈঠক নিয়ে রীতি কটাক্ষ করেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতার অভিযোগ এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিজেপিকে সরাতে এজতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন ২০১৯ সালে জাতীয় কর্মসূচি নিয়েছিলেন মমতা। ব্রিগেডে মিটিং-ও হয়েছিল। কিন্তু তার কী পরিণতি হয়েছিল তা সকলেই জানে। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর পরিবারকে যদি চুরির সুযোগ করে দিতে চান তাহলেই তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন। আর যদি দেশ বাঁচাতে চান তাহলে মোদীজিকে ভোট দিন।' তবে শুভেন্দু কটাক্ষ করে বলেন, কিছুই করতে কেউ পারবে না। সকলকেই জেলে যেতে হবে।

শুভেন্দু পাটনার বিরোধী দলের বৈঠকের তীব্র সমালোচনা করেন। শুভেন্দু বলেন, লালু, মুলায়ম, শারদ পাওয়ারের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে গেলে তৃণমূলকে ভোট দিন। শুভেন্দু তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, 'গরুপাচারকারীরা এদিন লালুর পায়ে হাত দিয়েছেন, জানতে চেয়েছেন গরু পাচার শেষ এবার গো-খাদ্য চুরি করতে চাই। কী করতে হবে?' নিজেই প্রশ্ন করে উত্তরও দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন লালু বলেছেন, স্ত্রী শ্যালিকা সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে তিহারে থাকারও আশীর্বাদ নাকি করেছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাটনায় বসে রাজ্যপাল ও রাজভবনের তীব্র সমালোচনা করেন। তার উত্তরও দেন শুভেন্দু। বলেন, রাজ্যপাল যথেষ্ট বিদগ্ধ। তাই রাজ্যপালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপদেশ নিয়ে কাজ করতে হবে না। তিনি আরও বলেন, রাজ্যপালের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই সেই কারণে রাজ্যপান সিভি আনন্দ বোস নিজের মত করেই কাজ করছেন। শুভেন্দু বলেন রাজ্যপাল কোনও রাজনৈতিক দলের কথায় চলছেন না। তিনি নিজে ক্যানিং-গিয়ে দেখে এসেছেন কীভাবে রাজ্যের গণতন্ত্রকে ৭তম করে দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি নিজের মত করেই আইন মেনে কাজ করছেন। শুভেন্দু বলেন রাজ্যপাল দীর্ঘদিন রাজ্য সরকারকে আইন মেনে কাজ করার সময় দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য তা করেনি। শুভেন্দু আরও বলেন, রাজ্যপালের কাজ কর্ম নিয়ে তাঁরও অভিযোগ ছিল। কিন্তু এখন আর নেই।

পাটনায় বসে মমতা পশ্চিমবঙ্গে তাঁর সরকারকে বিজেপি হেনস্থা করছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, রাজভবনকে বিকল্প সরকারি কাজকর্মের কেন্দ্রে পরিণত করেছে বিজেপি। তাঁর অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গ দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেই বিষয়ে তাঁর ও তাঁর সরকারের কোনও কর্তাব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা পর্যন্ত করা হয়নি। তিনি আরও বলেন বিজেপি যা চাইছে তাই করছে। কেউ যদি কোনও প্রতিবাদ করে তাহলে বিজেপি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইডি আর সিবিআই লাগিয়ে দেয়। মুখ বন্ধ করার কৌশল বলেও দাবি করেন তিনি। মমতার অভিযোগ বিজেপি মিডিয়াকে সম্পূর্ণভাবে কন্ট্রোল করছে।

আরও পড়ুনঃ

'রাজভবনকে বিকল্প সরকারি কার্যালয় বানিয়েছে বিজেপি', পাটনায় বিরোধী বৈঠকের পর কড়া বার্তা মমতার

Opposition Meet: ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা বিরোধীদের

Green Diamond: জিল বাইডেনকে মোদীর উপহার সবুজ হিরে, জানুন কী এই সবুজ হিরে- কতইবা দাম