সংক্ষিপ্ত
মমতা ব্যানার্জি থাকতে কোনদিনও বাংলা ভাগ হবে না। দাবি করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ ভাগের ইস্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
বাংলাভাগের জল্পনায় উত্তাল বাংলার রাজনীতি। একদিকে বিজেপির একদল নেতা কর্মী যখন উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্র করে বাংলাভাগের দাবিতে সরব বা জল্পনা উসকে দিচ্ছে তখনই আসরে নামে তৃণমূল তা বাতিল ঘোষণা করছে। এই অবস্থায় আবারও আসরে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। হরিশচন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন রবিবার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে কিছুতেই বাংলা ভাগ হতে দেবেন না।
হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন রবিবার বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে এই সব কিছু হবে না। বিজেপির চক্রান্ত ব্যর্থ হবে। সারা বাংলা এক সাথে থাকবে। এজাতীয় মন্তব্য রাজ্যের মানুষকে তেমন উৎসহ না দেখাতে ও ভয় না পতেও পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন এসবই বিজেপির চক্রান্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ক্ষমতা থাকলে এই চক্রান্ত কোনও দিনই সফল হবে না।
বেশ কিছু ঘটনা প্রবাহের ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য হিসেবে ভাগ হতে পারে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও করা হতে পারে নতুন বছরে। তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে বিজেপি বঙ্গভঙ্গের পক্ষে। যদিও এই ব্যাপারে মুখ খোলেনি রাজ্য বিজেপি। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় বা রাজ্য নেতৃত্ব এই বিষয়ে মন্তব্য না করলেও উত্তরবঙ্গ ভাগ নিয়ে স্থানীয় নেতাদের মন্তব্যের বিরোধিতা করে শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য কোনও দিনও করেননি।
যাইহোক এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এজাতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন এমন কোনও কথা তার সঙ্গে হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই এজাতীয় জল্পনার ফাঁদে পা না দেওয়াই শ্রেয়।
বাংলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভোটের আবহেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গকে ভাগ করার নিয়ে চর্চা শুরু হয়। এতে রাজনৈতিক ফয়দা পাওয়া যায়। কারণ উত্তর বঙ্গের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের অভিযোগ তাঁরা ঠিক মত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পরিষেবা পান না। সেক্ষেত্রে বাংলা ভাগ হলে উত্তরবঙ্গ যদি আলাদা রাজ্য তৈরি হয় তাহলে পরিষেবা পাওয়া যাবে। কিন্তু আদতে তা নয় বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায় বাংলাভাগকে চর্চায় এনে ভোটের আগে কিছু সুবিধে পেতে চায় স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আর সেই কারণে বিজেপির স্থানীয় নেতারা এজাতীয় কথা বললেও শীর্ষ নেতৃত্ব এব্যাপারে একদমই নীরব থাকেছে বরাবরই। বিধানসভা ভোটের সময়ও এজাতীয় কথা আলোচনা হয়েছিল। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন।
আরও পড়ুনঃ
ঘুমে অচৈতন্য ৯ বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে সংকটজনক নির্যাতিতা
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ছাত্রীর মৃত্যু, দায় ঠেলাঠেলিতে ব্যস্ত হুগলির বৈদ্যবাটির তৃণমূল-বিজেপি নেতারা