সংক্ষিপ্ত

বেসরকারি স্কুল সংক্রান্ত বিলে বলা হয়েছে, বেসরকারি স্কুলে বেতন কাঠানো বেঁধে দেওয়ার জন্য একটি কমিশন তৈরি করা হবে। একটি সর্বোচ্চ কত টাকা বেতন হিসেবে নিতে পারে তারও ঠিক করবে কমিশন।

 

রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলির ওপর এবার নজরদারী চালাতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। বেসরকারি স্কুলগুলির বেতন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, নির্দিষ্ট নিয়ম চালু করতে একটি কমিশন গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি বিল পাশ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। দীর্ঘদিন ধরেই বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে ফি বৃদ্ধি নিয়ে একাধিক অভিযোগ ছিল অভিভাবকদের। একাধিক বেসরকারি স্কুলে এই নিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছে অভিভাবকরা। করোনাভাইরাসের মহামারির সময় এই সমস্যা রীতিমত প্রকট হয়েছিল। যাইহোক এই সমস্যায় রাশ টানতে এবার উদ্যোগী হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

বেসরকারি স্কুল সংক্রান্ত বিলে বলা হয়েছে, বেসরকারি স্কুলে বেতন কাঠানো বেঁধে দেওয়ার জন্য একটি কমিশন তৈরি করা হবে। একটি সর্বোচ্চ কত টাকা বেতন হিসেবে নিতে পারে তারও ঠিক করবে কমিশন। এই কমিশন পরবর্তীকালে স্কুল নিয়ে অভিভাবকদের যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে তাও শুনবে। এই কমিশন রাজ্যের পড়ুয়াদের কথা মাথায় থেকেই সরকারের অনুমতিক্রমে প্রয়োজনে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে।

সোমবার রাজ্যমন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে এই বিলটি। শিক্ষা দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, এই কমিশনের নাম হবে শিক্ষা কমিশন। এই বিলের নামে 'দ্যা ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট স্কুল রেগুলেটরি কমিশল বিল ২০২৩।' বিলে বলা হয়েছে ১১ সদস্যের কমিশন তৈরি করা হবে। এই কমিশনের মাথায় থাকবেন কলকাতা হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তাঁর নেতৃত্বে কমিশন যাবতীয় কাজকর্ম করবে। কমিশনের সদস্যরা হবেন- রাজ্যের স্কুল শিক্ষা কমিশনার, রাজ্যের শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পরিষদ এসসিইআরটির অধিকর্তা, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি , উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, তাদের সঙ্গে থাকবেন দুই শিক্ষাবিদ। এই বিল মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পরে রাজ্যপালের অনুমতি পেলে কবেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিলের প্রস্তাব পেশ করেন, তাতে সম্মতি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্যে বেসরকারি স্কুলগুলির রমরমা বাড়ছে। স্কুলগুলিতে ছাত্র ভর্তির ঝোঁক যেমন বেড়েছে তেমনই স্কুলগুলি পাল্লা দিয়ে বেতন বৃদ্ধি করছে। অনেক সময় মাঝপথেই পড়ুয়াদের স্কুল ছেড়ে দিতে হচ্ছে। যা নিয়ে অনেক অভিভাবকই বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। এবার সেই সমস্যার সমাধান করতেই নতুন এই বিল পাশ করল মমতার মন্ত্রিসভা। বিলটি এখন বিধানসভায় পাশ হওয়ার অপেক্ষার রয়েছে।