সংক্ষিপ্ত
সূত্রের খবর অধীর লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী জোটের ২৬টি জন প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে একজন। মমতাকে উদ্দেশ্য করে অধীর বলেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উচিৎ তৃণমূল কংগ্রেসের একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য পুলিশ আর গুন্ডাদের ব্যবহার না করা।
কংগ্রেস আর তৃণমূল কংগ্রেস দুটি দলই বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। কিন্তু তারপরেও রাজ্য দুই দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে এল। রবিবার কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপ্যায়কে দলবদল প্রসঙ্গে নিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর চিঠিতে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা , শাসকদলের পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার -সহ একাধিক বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের যথেষ্ট সমালোচনাও করেছেন। সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অভিযোগ করেছেন, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ী সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন।
সূত্রের খবর অধীর লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী জোটের ২৬টি জন প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে একজন। মমতাকে উদ্দেশ্য করে অধীর বলেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উচিৎ তৃণমূল কংগ্রেসের একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য পুলিশ আর গুন্ডাদের ব্যবহার না করা। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের বিষয়টিও মমতাকে দেখতে আহ্বান জানিয়েছেন অধীর। তিনি বলেন পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপর হিংসা সত্ত্বেও কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। রাজনৈতিক নেতা , গুন্ডা আর পুলিশরা জয়ী প্রার্থীদের খুন-সহ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। তৃণমূলের সদস্য হতে একপ্রকার তাদের বাধ্য করা হচ্ছে।
অধীর তাঁর চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের কর্মীদের আরও ক্ষমতা ভোগ, আরও লাভ তাদের অতৃপ্ত করে রেখেছে। তৃণমূল কর্মীরা একচেটিয়া শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। দুই পৃষ্ঠার চিঠিতে অধীর বলেছেন, 'যদি এটি অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলতে থাকে তাহলে এটি একটি ভয়ঙ্করমাত্র বলে ধরে নিতে বাধ্য হবে। যা রাজ্যের মানুষের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের গণতান্ত্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না। '
'এটা কি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নির্বাচনে জেতার সভ্য উপায়, যেখানে আপনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী? আমি আপনাকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করব যে অন্য দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের অত্যাচার, সন্ত্রাস এবং টিএমসির আধিপত্যকে একচেটিয়া করতে বাধ্য করার মাধ্যমে পুলিশ ও গুন্ডাদের ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন' সূত্রের খবর চিঠিতে এমনটাই লিখেছেন অধীর চৌধুরী।
পরবর্তী ইন্ডিয়ার সভা মুম্বইতে আগামী ৩১ অগাস্ট-১ সেপ্টেম্বর। তার আগে অধীর চৌধুরীর এই চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ জোটের কারণ ধীরে ধীরে কাছাকাছি আসা শুরু করেছে কংগ্রেস আর তৃণমূল। তার মধ্যে অধীরের চিঠিতে অন্য প্রতিক্রিয়াও হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।