সংক্ষিপ্ত
রবিবার বিকেলে মণিপুরের জাতিদাঙ্গা, নারী নির্যাতন এবং চলমান অচলাবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মণিপুরের ঘটনার প্রতিবাদে পথ নামল সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠন জয় কিষাণ আন্দোলনের হুগলী জেলা শাখা। রবিবার বিকেলে মণিপুরের জাতিদাঙ্গা, নারী নির্যাতন এবং চলমান অচলাবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর মৌনতা নিয়েও সরব হন তাঁরা। মণিপুরের এই অবস্থার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যের বিজেপি সরকারকে ১০০ শতাংশ দায়ী করে সংগঠন। শুধু তাই নয় এদিন মণিপুরে চলতে থাকা হিংসার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকার প্রতিবাদে পোস্টার হাতে নিয়ে বিশাল মৌন মিছিলে সামিল হন তাঁরা। মিছিল শেষে খন্যান মোড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেন তাঁরা। কৃষক, কৃষি শ্রমিক, মজদুর, শিক্ষক, সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে জেলার বহু মানুষ কর্মসূচিতে অংশ নেন। জয় কিষাণ আন্দোলনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভীক সাহা আগাগোড়া কর্মসূচিতে শামিল হন। এছাড়াও কল্যাণ সেনগুপ্ত, রাম বচ্চন, ডঃ রত্না পাল-সহ বিভিন্ন রাজ্য নেতৃত্ব এবং অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। জয় কিষাণ আন্দোলনের হুগলী জেলা সভাপতি সুশান্ত কাঁড়ির নেতৃত্বে পুরো কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, মণিপুর হিংসা মামলার শুনানি করতে গিয়ে সোমবার বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে যে হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য এটি একটি এসআইটি গঠন করবে, যেখানে একজন মহিলা বিচারককেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। হিংসার শিকারদের আবেদনের শুনানি করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন মণিপুর রাজ্যে নিরাময় স্পর্শের প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্যে লাগামহীন হিংসা চলছে। এমতাবস্থায় আদালতের নিযুক্ত টিমের কাছে একটি বার্তা যাবে যে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নোট করেছে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, কমিটি গঠনের দুটি উপায় রয়েছে। এখানে আমরা নিজেরাই কমিটি গঠন করছি। যার মধ্যে নারী বিচারক এবং ডোমেইন বিশেষজ্ঞদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নারী হোক বা পুরুষ হোক সেটা আলাদা বিষয়, তবে নারীদের থাকতে হবে, কারণ তারা ভিকটিমদের সাথে যোগাযোগ করবে। সিজেআই বলেছেন যে এসআইটি গঠন শুধুমাত্র রাজ্যে কী ঘটেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করার প্রেক্ষাপটে নয়। বরং সেখানেও আমাদের জীবন পুনর্গঠন করা দরকার।