সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অভিযোগ করেছেন যে কলকাতার পুলিশ অফিসার ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তার ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করে অমিত শাহের মন্ত্রক।

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রবিবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনারের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অভিযোগ করেছেন যে কলকাতার পুলিশ অফিসার ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, রাজ্যপাল বিনীত গোয়াল ও ডিএসপি (সেন্ট্রাল ) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন, যে তারা এমনভাবে কাজ করছে যা সম্পূর্ণরূপে একজন সরকারি কর্মীর উপযুক্ত আচরণ নয়।

গত মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানেই কলাকাতা পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় অনুমতি প্রদান করা সত্ত্বেও ভোট পরবর্তী হিংসার আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। রাজভবনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বাংলার গভর্নর সিভি আনন্দ বোসের জমা দেওয়া একটি বিশদ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইপিএস অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শুরু করেছে।' রাজভবন থেকে জানান হয়েছিল চিঠি প্রতিলিপি রাজ্য সরকারের কাছে ৪ জুলাই পাঠান হয়েছে।

রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রাজভবনে নিযুক্ত অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে এপ্রিল-মে মাসে এক মহিলা কর্মচারীর মিথ্যা অভিযোগকে প্রচার আর উৎসাহিত করার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেছেন, 'এই আইপিএস অফিসাররা তাদের কাজের মাধ্যমে শুধুমাত্র গভর্নরের অফিসকে কলঙ্কিত করেনি বরং এমনভাবে কাজ করেছে যা একজন সরকারি কর্মচারীর জন্য সম্পূর্ণরূপে অশোভন। তারা সুবিধাজনকভাবে আচরণ বিধি উপেক্ষা করা বেছে নিয়েছে।' অন্যদিকে আগামী ১০ জুলাই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে যে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন তার শুনানি হবে।