রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাংলা থেকে সিকিমে যাওয়া প্রায় তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক এখনও পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারেননি, এখনও আটকে রয়েছেন প্লাবিত পাহাড়ে।

কেউ ঘুরতে গেছেন কলকাতা থেকে, কেউ আবার অন্যান্য জেলা থেকে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাক-পুজো ছুটি কাটাতে সপরিবারে সিকিম গিয়েছেন বহু পর্যটক। কিন্তু, ভয় ধরাচ্ছে বন্যা। মেঘ ভাঙা জলে প্রবলভাবে ফুঁসছে তিস্তা নদীর জল, ইতিমধ্যেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন ভারতীয় বাহিনীর বহু সেনা। নিজেরা পরিবার নিয়ে বাড়ি ফিরে আসবেন কীভাবে, সেই দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন বঙ্গের ভ্রমণকারীরা। বিকল্প রাস্তায় গাড়ি চলাচল শুরু হলেও নতুন করে বাড়ছে বিপর্যয়ের আশঙ্কা। 

উত্তর সিকিমে মেঘ ভেঙে তিস্তার জল বেড়ে যাওয়ায় একাধিক পাহাড়ি রাস্তায় ধস নেমেছে এবং ভাঙন দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সীমানায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভেঙে গিয়েছে। বড় বিপর্যয়ে পড়েছে উত্তর সিকিম। প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও পর্যটককেই সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বহু পরিবার সেখানে আটকে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় অপেক্ষা করে রয়েছেন সকলে। 

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাংলা থেকে সিকিমে যাওয়া প্রায় তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক এখনও পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারেননি। যেকোনও উপায়ে কেউ কেউ পৌঁছেছেন শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি অথবা মালদহে। তবে, অনেকেই এখনও আটকে রয়েছেন প্লাবিত পাহাড়ে। পরিবারের মানুষরাও বারবার আতঙ্কিত হয়ে ফোন করছেন তাঁদের নম্বরে। অনেকে ধসপ্রবণ রাস্তা থেকে কোনওমতে বেঁচে ফিরে হোটেলের ভেতরেই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। 

Scroll to load tweet…