সংক্ষিপ্ত

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ শুরু হয়েছিল মিছিল। ধর্মতলায় মিছিল পৌঁছায় রাত সোয়া ১০টা নাগাদ। মিছিল শুরুর আগে জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা ও মা।

 

আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আবরও গর্জে উঠল রাজপথষ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নির্যাতিতার বাড়ি সোদপুর থেকে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চ - ১৯ কিলোমিটারেরও বেশি পথ জুড়ে হল মিছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের 'ন্যায় বিচার যাত্রা'য় সামিল হয়েছিল বহু সাধারণ মানুষ। এই মিছিল থেকে আবারও উঠল আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবি।

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ শুরু হয়েছিল মিছিল। ধর্মতলায় মিছিল পৌঁছায় রাত সোয়া ১০টা নাগাদ। মিছিল শুরুর আগে জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা ও মা। ছিলেন পরিবারের অনেক সদস্যও। পরিবারের পক্ষ থেকে জানন হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সংহতি জানাতে ও তাঁদের আমরণ অনশনে পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই মিছিলে তাঁরা যোগ দিয়েছিবেন।

মিছিল বিটি রোড,ডানলপ, শ্যামবাজার, কলেজ স্কোয়ার, কলেজ স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে মিছিল এসে পৌঁছয় ধর্মতলায়। সেখানেই আজ ১৬ দিন ধরে আরজি কর ইস্যু-হ ১০ দফা দাবিতে অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন মিছিল শুরুর পর থেকেই মিছিলে ভিড় বাড়তে থাকে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে পথচলতি মানুষ। গাড়ি বাস থেকেও ওঠে 'জাস্টিট ফর আরজি কর ' স্লোগান। জুনিয়র ডাক্তারদের এই মিছিলে ছিলেন সিনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরাও এই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন।

'আমরণ অনশন' প্রত্যাহার করলে তবেই নবান্নে বৈঠক। অনেকটা এমনই শর্ত দিয়ে ধর্মতলায় আন্দোবনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের মেল পাঠালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ইমেলে মুখ্যসচিব বলেছেন, 'অনশন প্রত্যাহার করে ২১ অক্টোবর নবান্নে বৈঠকে যোগ দিন।'মুখ্যসচিবের এই ইমেলের জবাব শনিবার, আজকের মধ্যেই তাঁরা দেবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও অনশনকারীদের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানান হয়নি। আগেই তাঁরা বলেছিলেন সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।