সংক্ষিপ্ত

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অপব্যবহার রুখতে রাজ্য সরকারের নয়া পদক্ষেপ। হাসপাতালে ভর্তি, অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে রোগীর ভিডিও ও জিপিএস লোকেশন পাঠাতে হবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নতুন নিয়মে ডায়ালাইসিস, কেমোথেরাপি-সহ অন্যান্য চিকিৎসাও অন্তর্ভুক্ত।

বেসরকারি হাসপাতালে 'চুরি' ঠেকাতে একগুচ্ছ নিয়ম! স্বাস্থ্য কার্ড নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নতুন নিয়ম হাসপাতালে ভর্তির পর রোগীর ভিডিও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠাতে হবে। অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে রোগীর ভিডিও ও ক্লিনিকে পাঠাতে হবে। চিকিত্সার প্রতিটি পর্যায়ে, রোগীর জিপিএস অবস্থান একটি নির্দিষ্ট সার্ভারে পাঠানো উচিত যে রোগী আসলে হাসপাতালে আছে কি না।

একবার পাঠানো হলে ফটো, ভিডিও, জিপিএস লোকেশন এডিট করা যাবে না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ডায়ালাইসিস, কেমোথেরাপি এবং অন্যান্য চিকিৎসার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জিপিএস চালু করে পরীক্ষা শুরু হলে নির্দিষ্ট অ্যাপ চালু করতে হবে। পরীক্ষা শেষ হলে, জিপিএস চালু করুন এবং অ্যাপটি অবিলম্বে বন্ধ করুন। যে অ্যাপের মাধ্যমে এই তথ্য পাঠানো হবে তা হাসপাতালের ৫০ মিটার ব্যাসার্ধের বাইরে কাজ করবে না

এই বছরের শুরুতে, রাজ্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার নিয়ম পরিবর্তন করে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এরপর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিলেই সেবা পাওয়া যাবে।

কেন এত কঠোর পদক্ষেপ? গত কয়েকদিন ধরে স্বাস্থ্য কার্ড নিয়ে বিতর্ক চলছে। আসলে বিধানসভা স্বাস্থ্য কমিটির তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগে মুখ খুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'দুবার তদন্ত হয়েছে। হেলথ পার্টনারের টাকার অপব্যবহার ধরা পড়েছে। একদল চিকিৎসককে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, 'কাজ না করলে টাকাও নেবেন। বিভাগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।