সংক্ষিপ্ত
শনিবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অধীন সবংয়ে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন তিনি। এখানেই নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। আর তাঁর এই অকপট স্বীকারোক্তিতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
চলতি বছর লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে চাননি। কিছুটা জোর করেই তাঁকে ময়দানে নামিয়েছে দল। সেই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেবের বেফাঁস স্বীকারোক্তিতে বেশ বিপাকে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস! রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অন্তত তাই বলছেন। কী বেফাঁস বলে ফেলেছেন দেব। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন সেই তথ্য।
আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। এর আগে এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন সব প্রার্থী। পিছিয়ে নেই ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবও। এদিন সরবংয়ের দেহাটিতে সভা করার পর তেমাথানি অবধি রোড শো করেন দেব। দিন কয়েক আগে ঘাটালের জোড়াফুল প্রার্থী সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড দাবি করেন, কয়েক মাস ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁসের ‘হুঁশিয়ারি’ও দেন অভিষেক।
শনিবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অধীন সবংয়ে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন তিনি। এখানেই নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। আর তাঁর এই অকপট স্বীকারোক্তিতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কী বলেছেন দেব?
বক্তব্য রাখার সময় দেব বলেন, ‘হ্যাঁ বিগত দশ বছরে আমায় এলাকায় কম দেখা গিয়েছে। তবে আমি কিন্তু কোথাও পালিয়ে যাইনি। কম দেখা যাওয়া আর পালিয়ে যাওয়ার মধ্যে কিন্তু বিস্তর তফাৎ আছে। কম দেখা যাওয়া আর ভয় পেয়ে বাড়িতে বসে থাকার মধ্যে তফাৎ আছে’।
এখানেই না থেমে দেব বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ঘাটালবাসীর হয়তো কম দেখতে পাওয়ার অভিযোগ থাকতে পারে। তবে তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। একজন জনপ্রতিনিধির কাজ হল দূরে থাকলেও এলাকায় শান্তি বজায় রাখা, সেই দায়িত্ব পালনে ত্রুটি রাখেননি তিনি।
সেখানে দাঁড়িয়ে দেব স্বীকার করে নেন, সত্যিই গত ১০ বছরে এলাকায় তাঁকে বেশি দেখা যায়নি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।