সংক্ষিপ্ত
ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে এই রাজ্যের রাজনীতি প্রথম দিন থেকেই গরম। যার উত্তাপ এখনও পর্যন্ত কমনি। রাজ্যের শাসক ও প্রধান বিরোধী দল একে অপরকে নিশানা করতে কোনও ক্ষেত্রেই পিছপা হচ্ছে না।
ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিকে এবার ১৩ বছর আগের জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু অধিকারী নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। পাশাপাশি সেই সময় মমতা পদত্যাগ করেননি বলেও রীতিমত কটাক্ষ করেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'তোমার পিসি কী ২০১০ সালে ২৮ মে জ্ঞানেশ্বরী একপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার পরে পদত্যাগ করেছিলেন? দুর্ঘটনায় ১৫০ জন যাত্রী নিহত হয়েছিল। ' প্রশ্ন করলেও উত্তর দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি জানিয়ে দেন দেড়শ জনের মৃত্যুর দায়ভার নিয়ে রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েননি মমতা। বিজেপি নেতা আরও বলেছেন, 'আপনি ভালচার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেননি। একজন ক্ষীণ অর্ধশিক্ষত ব্যক্তির কাছ থেকে এর থেকে আর বেশি কী আশা করা যায়। রাজনীতি এমনই যে পিসি তার পরিবারিক ব্যবস্যার মালিক রাজনৈতিক দল হিসেবে চিত্রিত। ' শুভেন্দু আরও বলেছেন, বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আইআইটির একজন প্রাক্তন ছাত্র। ১৯৯৪ এর ব্যাচের একজন প্রাক্তন আইএএস। দুঃসয়মের দুর্গ ধরে রাখতে তিনি বর্তমানে সবথেকে উপযুক্ত ব্যক্তি। শুভেন্দু বলেছেন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বীকার করে নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, যে দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না।
শুভেন্দু আরও বলেন, তিনি মনে করিয়ে দিতে চান, জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডের পিছনে ছিল সিবিআই-এর চার্জশিটে নাম থাকা ছত্রধর মাহাত, যিনি মমতার দলেই সদস্য ছিলেন। ২০২০ সালে জেল থেকে বেরিয়ে আসার পরে 'আপনার পিসি' আবার তাঁকে তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। যিনি সেই সময় রেলমন্ত্রী ছিলেন।
শুভেন্দু অধিকারীর টুইটের লক্ষ্য ছিল ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে উদ্দেশ্য করেই তিনি এই কথা বলেছেন। কিন্তু শুভেন্দুর এই টুইটের উত্তর দিয়েছেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে কুণাল বলেন, শুভেন্দু দিল্লিতে তার প্রভুদের বাঁচাতে ব্যস্ত। আর সেই কারণে ২০১০ সালের জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত হওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সঙ্গে জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার কোনও মিল নেই। তিনি আরও বলেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে অ্যান্টি কোলিশন ডিভাইস ব্যবহার না করার জন্য। অন্যদিকে জ্ঞানেশ্বরী ঘটনার জন্য দায়ী ছিল রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় থাকা তৎকালীন বাম সরকার।
যাইহোক ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে এই রাজ্যের রাজনীতি প্রথম দিন থেকেই গরম। যার উত্তাপ এখনও পর্যন্ত কমনি। রাজ্যের শাসক ও প্রধান বিরোধী দল একে অপরকে নিশানা করতে কোনও ক্ষেত্রেই পিছপা হচ্ছে না।