সংক্ষিপ্ত

জেসিবি জেলে যেতেই নির্যাতিতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি! গির আলমের 'ত্রাসে' বদলে যাচ্ছে বয়ান, অভিযোগ বিরোধীদের

একটি পুরুষ ও মহিলাকে গণপিটুনি কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা জেসিবি। সেই দৃশ্য নাকি আবার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবিকে গ্রেফতার করার পরেও কাটছে না সন্ত্রাস।

এলাকার মানুষকে নাকি ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছেন জেসিবির ভাই এবং শাগরেদরা। স্থানীয় বিরোধীরা বলেছেন, এলাকাজুড়ে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে রাখছে গির আলম নামে জেসিবির ভাই।

সোমবার ভাইরাল হয়ে যায় এক ভিডিও যেখানে এক যুবক ও যুবতীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে করে মারতে দেখা গিয়েছে। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ব্যপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়। তবে ওই ভিডিও সত্য কি না তা এখনও জানা যায়নি।

এরপর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। কিন্তু তাতেও শান্তি নেই, এরপর না কি যাদের ভিডিওতে দেখা গিয়েছে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসেন জেসিবির ভাই গির আলম।

এক তরুনীকেও কঞ্চি দিয়ে মারার ভিডিও সামনে এসেছে। কিন্তু সোমবার ওই নির্যাতিতা তরুনী জানিয়েছে তাঁর সম্মতি না নিয়েই এই ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে। এতে তাঁর সম্মানহানীও হয়েছে। এরপরেই বিরোধীরা বলেন, " হুমকির মুখে পড়েই নাকি নিজের বয়ান বদলেছেন ওই নির্যাতিতা"।

এ প্রসঙ্গে চোপড়ার কংগ্রেস সভাপতি মাসিরুদ্দিন জানান, " আগে দড়ি দিয়ে বেঁধে যাঁদের মারধর করা হয়েছিল, রাতে তাঁদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। জেসিবির ভাই গির আলমই এই ভাবে হুমকি দিয়েছে। জেসিবি, গির আলম, মেহবুব হল এখানকার ত্রাস। ওদের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে।"

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল। তিনি জানিয়েছে , 'কেউই কাউকে ভয় দেখাচ্ছে না। কাউকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে না। নির্যাতিতা যদি মনে করেন যে ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ায় তাঁর সম্মানহানি হচ্ছে, তা হলে তা সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব ব্যাপার'।