সংক্ষিপ্ত

সিপিএম-এর পক্ষ থেকে স্পষ্টই জানানো হয়েছে, জোটের পথেই হাঁটতে চান তাঁরা। বঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূলকে প্রতিহত করতে সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে একত্র হওয়ারও আহ্বান জানাল লাল দল।

 

জোটের পথ খোলা রেখেই এগোচ্ছে বামেরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সিপিএমের জেলা পরিষদের প্রার্থী ঘোষণা করার সময় এমনটাই জানালেন জেলা সিপিএম সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি। সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করা হল ৭০টি জেলার পরিষদের মধ্যে ৫৯টি জেলা পরিষদের প্রার্থীর নাম। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নিমতৌড়ি সিপিএম জেলা কার্যালয়ে প্রার্থী ঘোষণার পর্ব। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেতা সুজন চক্রবর্তীও। এই ৫৯টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৪৯ টি সিপিআই ৮ টি, আরএসপি ১ টি, এনসিপি ১টি। এদিন সিপিএম-এর পক্ষ থেকে স্পষ্টই জানানো হয়েছে, জোটের পথেই হাঁটতে চান তাঁরা। বঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূলকে প্রতিহত করতে সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে একত্র হওয়ারও আহ্বান জানাল লাল দল।

রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে জোটের বিষয় মুখ খোলেন জেলা সিপিএম সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি। তিনি স্পষ্টই জানান,'আপনারা সকলেই জানেন অধীর চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন তাঁরা বামফ্রন্টের সঙ্গে একত্রিত হয়ে লড়তে চায়। আমরাও তাঁদের চিঠি দিয়ে এবং সাক্ষাৎ করে একসঙ্গে লড়ার আহ্বান জানিয়েছি। সেইজন্যই বেশ কিছু জায়গা ফাকা রাখা হয়েছে। এই বিষয় আলোচনা হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সমস্ত দলের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে কাল বা পরশুর মধ্যে জানানো হবে।' তিনি আরও জানান,'আমরা জানি ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ আসনে মনোনয়ন কালকের মধ্যে হয়ে যাবে। আমি আশাবাদী এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপিকে হারানোর জন্য বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করা সহজ হবে।' আইএসএফ কি আদৌ জোটে থাকছে? প্রশ্নের উত্তরে বাম নেতা জানান,'আলোচনা চলছে। জোটে থাকার বিষয় আমাদের ও ওঁদের মধ্যে একটা পজিটিভ মনোভাবই আছে।' এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেছেন,'পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটাকে ঠিক জোট বলা যায়না। এটা হল বিজেপি ও তৃণমূল এই দুই শক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে এক জায়গায় নিয়ে আসা। এটাকে ইলেকশন অ্যাডজাস্টমেন্ট বা বোঝাপড়া বলা যায়।'

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নির্বাচন ঘিরে রাজ্যে অশান্তির ঘটনায় শাসক দলের তীব্র সমালোচনা করেন সুজন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে শাসকদলের থেকে এগিয়ে বিরোধীরা। সুজনের কথায়, 'আমাদের কর্মীরা অনেক জায়গাতেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে এবং তার থেকেও বেশি জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েও দিতে পারেনি, কারণ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত নয়। ছয় দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের গাফিলতিতে একদিন নষ্ট। এখন প্রশ্ন এই নষ্ট হবে জেনেই কি তৃণমূল বাহিনী আসেনি?' শুধু তাই নয় একাধিক জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন,'গতকাল মুর্শিদাবাদের রানিনগরে যখন আমাদের কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তখন তৃণমূলের নেতা বাইরের থেকে বাহিনী নিয়ে এসে আক্রমণ করেন। ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় কর্মীরা। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে রুখে দাঁড়িয়েছিল স্থানীয় মানুষেরা। যারা আক্রমণ করতে এসেছিল তাদের কার্যত তাড়া খেতে পালাতে হয়েছে, তৃণমূলকে তাড়া খেয়ে পালাতে হয়েছে।' সুজনের সংযোজন,'রানিনগর দেখে যেন তৃণমূল বোঝে যে মানুষ চায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে, সেটা যদি বাইরের থেকে বাহিনী এনে নষ্ট করার চেষ্টা করতে চায় তাহলে যেন রানিনগরের চেহারাটা মনে রাখে।'

আরও পড়ুন -

কংগ্রেস কর্মী খুনে গ্রেফতার আরও এক, রবিবার খড়গ্রামে প্রতিবাদ মিছিল অধীরের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে অশান্তি রুখতে বড় পদক্ষেপ, হেল্পলাইন নম্বর চালু করল বিজেপি

পঞ্চায়েত নির্বাচনে আশান্তি নয়! ক্ষণিকের ব্যবধানে সুকান্ত-রাজীব রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন