সংক্ষিপ্ত

রাজনৈতিক চাপান-উতোরের মধ্যে এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে এবার বড় পদক্ষেপ জেলা পুলিশ। ভোট না মেটা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসানো হবে নতুন পুলিশ ক্যাম্প। ইতিমধ্যে গ্রামজুড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ।

পঞ্চায়েত ভোটের আবহে অশান্তি লেগেই রয়েছে রাজ্যজুড়ে। গুলি, বোমাবাজি, সংঘর্ষের ঘটনা জেলায় জেলায়। উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহ গ্রাম। কোচবিহার মূল শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থিত এই গীতালদহের জারি ধরলা গ্রাম। চারিদিক থেকে নদী বেষ্টীত গ্রাম থেকে নদী পেরিয়ে একটু এগোলেই বাংলাদেশ। কাঁটাতার না থাকায় এই গ্রাম চোরাচালান কারবারিদের জন্য স্বর্গরাজ্য বলেও দাবি করে স্থানীয়রা। এই গ্রামের মোট ভোটার সংখ্যা ১৫০০। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে গোলাগুলি ও অশান্তির ঘটনা সামনে এল কোচবিহারের এই প্রান্তিক গ্রামেও। মঙ্গলবার দিনভর দিনহাটার গীতালদহের জারি ধরলা গ্রামে চলল গোলাগুলি ও বোমাবাজীর ঘটনা। ভোটের আবহে ছয় জনের গুলিবিদ্ধ হওয়া ও একজনের মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক এলাকাজুড়ে। রাজনৈতিক চাপান-উতোরের মধ্যে এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে এবার বড় পদক্ষেপ জেলা পুলিশ। ভোট না মেটা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসানো হবে নতুন পুলিশ ক্যাম্প। ইতিমধ্যে গ্রামজুড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ।

নদীবেষ্টিত হওয়ায় দিনহাটার গীতালদহের জারি ধরলা গ্রামে বসানো যায়নি কাঁটাতারের বেড়া। ফলত বাংলাদেশ থেকে সহজেই এবারে আসতে পারে দুষ্কৃতীরা। এই প্রসঙ্গেও বিএসএফ-এর সঙ্গে আলোচনা করেছে জলা পুলিশ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন,'এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং নতুন করে যাতে কোনও অশান্তি না হয় সে কথা মাথায় রেখে পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত ওই পুলিশ ক্যাম্প বসানো হচ্ছে।'

প্রসঙ্গত, কোচবিহারে মমতার সভার ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষের সাক্ষী কোচবিহার। মঙ্গলবার সকালে গুলি চলল দিনহাটার গিতালদহের জারিধরলা গ্রামে। ঘটনায় নিহত এক তৃণমূল কর্মী। মৃতের নাম বাবু হক। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পদ্মদল। মঙ্গলবার সকালে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

সূত্রের খবর মঙ্গলবার ভোররাতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনহাটার গিতালদহের জারিধরলা গ্রাম। দফায় দফায় চলে গুলিও। দু'তরফা গোলাগুলির মাঝেই মৃত্যু হয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বাবু হকের। ঘটনায় আহত আরও ৬। তাঁদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁদের কোচবিহারে রেফার করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানুতোর সৃষ্টি হয়েছে চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।