সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি বিজেপির মদতে ও সিপিএমের সাহায্য নিয়ে আইএসএফ এভাবে সন্ত্রাস তৈরি করতে পারছে। তাদের প্রধান টার্গেট তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।

পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র বেশ কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত বাংলা। বোমা-বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে রাজ্য। কার্যত প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। ঝরছে রক্ত। প্রাণহানি হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তবে সব অভিযোগ স্বীকার করতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের পালটা অভিযোগ আইএসএফের দিকে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন বলেন আইএসএফ বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি বিজেপির মদতে ও সিপিএমের সাহায্য নিয়ে আইএসএফ এভাবে সন্ত্রাস তৈরি করতে পারছে। তাদের প্রধান টার্গেট তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। দেগঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে শান্তনু সেন বলেন বাবার সামনে এক কিশোরকে খুন করা হয়েছে। এর পিছনেও নির্দিষ্ট একটি দল রয়েছে। একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে অতর্কিত আক্রমণ নেমে আসে স্কুল পড়ুয়া ইমরানের ওপরে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা। পরিবারের অভিযোগ, শুধু বোমাবাজি নয় গুলিও চালানো হয়েছিল। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে গোটা ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ মানতে নারাজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি বিজেপি কর্মী সমর্থকরাই উল্টে আক্রান্ত হচ্ছেন সব থেকে বেশি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হিংসায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কোনও হাত নেই।

এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য অতি শীঘ্রই বাকি থাকা ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। সেই ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কোন কোন জেলায়, কীভাবে মোতায়েন করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, সবথেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলাতে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে যে, এই তৃতীয় দফার বাহিনীর মধ্যে একটি কোম্পানিও কালিম্পং জেলায় মোতায়েন করা হচ্ছে না। বাকি সব জেলাতেই হিসেব মতো বিভাজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন।