সংক্ষিপ্ত
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়েছি শুক্রবার ও সোমবার। শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল কলকাতা হইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার সেই মামলায় রায় ঘোষণা করে আদালত।
পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি আংশিক মেনে নিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের সাতটি জেলাকে আগেই স্পর্শকাতর চিহ্নিত করে সেই জেলাগুলিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বিরোধীদের দাবি পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নে সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। এই বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতেই ছেড়ে দিয়েছে হাইকোর্টের প্রাধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়েছি শুক্রবার ও সোমবার। শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল কলকাতা হইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার সেই মামলায় রায় ঘোষণা করে আদালত। আদানতের নির্দেশ অনুযায়ী -
ভয় মুক্ত পরিবেশে ভোট করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের উচিৎ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করায। রাজ্য পুলিশের ঘাটতি রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট। আদালত আরও বলেছেন কেন্দ্র সরকারের উচিৎ রাজ্য যা বাহিনী চাইবে তা সরবরাহ করা।
এদিন একই সঙ্গে আদালত মনোনয়ন দাখিলের দিন আরও বাড়ানো নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে আদালত কোনও নির্দেশ দেবে না। সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।
আদালতের রায় অনুযাযী চুক্তিভিত্তিক কর্মী বা এনসিসির সদস্যদের চতুর্থ শ্রেণীর পোলিং অফিসারের পরবর্তী কোনও পদে ব্যবহার করতে পারে রাজ্য সরকার। স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিৎ কমিশনের। স্পর্শকাতর ৭টি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্রুত মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ রাজ্য সরকার দেবে না। কেন্দ্রীয় সরকারকেই বহন করতে হবে। ভোটে সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের ব্যবহার না করার পক্ষেই মত দিয়েছে আদালত। বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে নির্দেস। পাশাপাশি এলাকায় যেসব সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে সেগুলির ওপরেও নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে আদালত মনোনয়ন নিয়ে স্পষ্ট করে নির্দেশ না দিলেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে মনে করিয়ে দিয়েছে মনোনয়ন দাখিলের জন্য ৫ দিন সময় যথেষ্ট নয়। তবে এই পাঁচ দিনের মধ্যে একটি ছুটির দিনও ছিল। সেই দিন কোনও মনোনয়নপত্র দাখিল করা যায়নি। তবে নির্দেশ না দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওপরই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে আদালত।
গত ৮ জুন রাজ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পরের দিন অর্থাৎ ৯ জুন থেকে ১৫ মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে পরের দিনই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। দুজনেই দাবি করনে মনোনয়ন দাখিলের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়নি কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ
'খুনি মেয়ে'র কাণ্ড! মাকে খুন করে বাক্সবন্দি দেহ নিয়ে বেঙ্গালুরুর থানায় আত্মসমর্পণ বাংলার সোনালির
TMC-ISF সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড়ে জনসংযোগ যাত্রা অভিষেকের, নিরাপত্তা বজায় রাখতে তৎপর পুলিশ