সংক্ষিপ্ত
মনোনয়নের দিনে সংঘর্ষে উত্তাল ভাঙড়। বিকেলে সেখান থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য জনসংযোগ যাত্রার শুরু করলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মনোনয়নকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তাল ছিল ভাঙর। বিকেলে সেই ভাঙর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জনসংযোগ যাত্রা শুরু করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তার দুই ধারে ছিল উপচে পড়া জনতার ভিড়। গাড়ির ছাদে চড়েই জনযোগ যাত্রা শুরু করেন জনসংযোগ যাত্রা। এদিন নবজোয়ার কর্মসূচির ৪৮তম দিন। নির্বাচনী আচরণবিধি শুরু হয়ে গেছে আগে থেকেই । আর সেই কারণে কোনও বড় দলীয় কর্মসূচি করছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাধারণত জোর দিচ্ছেন স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ আলোচনা আর রোড শোয়ের ওপর। এদিনই তেমন ভাবেই জনসংযোগ যাত্রা সারছেন অভিষেক।
ভাঙড় তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল। একটা সময় দারুন দাপট ছিল আরাবুল ইসলামের। কিন্তু এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বও প্রবল। তার সুযোগ নিয়েই গত বিধানসভা নির্বাচন থেকেই এই এলাকার দখল নিয়েছে আইএসএফ। তারপর থেকেই গোটা এলাকা ধরে রাখতে রীতিমত তৎপর আইএসএফ। এবারও তার ব্যাতীক্রম হবে না বলেও দাবি করছে আইএসএফ-এর নেতা কর্মীরা। যা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জের। অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা এআইএসএফ-এর দাপট কতটা কমাতে পারে তাই নিয়ে প্রশ্ন ভাঙড়ের অলিতে গলিতে।
মনোনয়ন ঘিরে এদিন ভাঙড় রীতিমত উত্তাল হয়। মুড়িমুড়ির মত বোমাও পড়ে। ১০ জন জখম হয়েছে। এই অবস্থায় অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে রীতিমত তৎপর পুলিশ। বিকেলে ভাঙড়ের বাসন্তী হাইওয়ের চণ্ডীপুর থেকে যাত্রা শুরু করেুন অভিষেক। বাসন্তী হাইওয়ে থেকে চণ্ডীপুর হয়ে ঘটকপুকুর চৌমাথায় যান তিনি । ঘটকপুকুর থেকে সোনারপুর রোড ধরে সোনারপুর পৌঁছাবেন তিনি। যাত্রাপথে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত তিন জেলায় জনসংযোগ যাত্রা বাকি করেছে। সূত্রের খবর ১৬ জুনের মধ্যে যাত্রা শেষ করতে বদ্ধপরিকর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তাল হয়েছিল ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মতুয়া ঠাকুরবাড়ির ঘটনার রেশ পড়ে হাসপাতালেও। সেখানেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে রীতিমত উত্তপ্ত রাজ্যরাজনীতি। এই অবস্থায় ভাঙড়ের মত উত্তাল ও স্পর্শকাতর এলাকায় মনোনয়নের দিনই অভিষেকের যাত্রা রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ বলেও দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ বর্তমানে ভাঙড়ের দখল আইএসএফএর হাতে। এই এলাকায় রীতিমত পাল্লা দিয়ে তৃণমূলের বিরোধিতা করছে দলটি। সম্প্রতি কলকাতা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল তাদের আন্দোলনকে।
আরও পড়ুনঃ
প্রাক্তন টুইটার কর্তা জ্যাক ডরসির কথায় উচ্ছ্বাস না করাই শ্রেয়, বিশেষজ্ঞ জানালেন ৫টি কারণ
'খুনি মেয়ে'র কাণ্ড! মাকে খুন করে বাক্সবন্দি দেহ নিয়ে বেঙ্গালুরুর থানায় আত্মসমর্পণ বাংলার সোনালির