সংক্ষিপ্ত
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন করে জেলাভিত্তিক দায়িত্ব বন্টন করল তৃণমূল। কোন জেলার দায়িত্ব কার হাতে? দেখে নেওয়া যাক।
সাগরদিঘির ঘটনার পূণরাবৃঋ যাতে যাতে পঞ্চায়েতে না ঘটে সেদিকেই জোর দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের নীতি নির্ধারণের জন্য দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরদিঘিতে অপ্রত্যাশিত হারের কারণ, সংখ্যালঘু ভোট ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল শিবিরে শুরু হয়েছে আলোচনা। এবার লড়াইয়ের ময়দানে নামার আগে নতুন করে ঘুটি সাজাচ্ছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করতে নতুনভাবে বন্টন করা হল জেলা ভিত্তিক দায়িত্ব। একাধিক জেলার দায়িত্ব পড়ল নতুন হাতে। এই মর্মে একটি পোস্টও করা হয় টুইটারে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা-সহ একাধিক জেলার দায়িত্ব এল পরিবর্তন। পরিবর্তন এসেছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বেও।
কোন জেলার দায়িত্বে থাকছেন কে?
তৃণমূলের এখন পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। সম্প্রতি উপনির্বাচনে সাগরদিঘির ফলাফলের পর এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন করে জেলাভিত্তিক দায়িত্ব বন্টন করল তৃণমূল। কোন জেলার দায়িত্ব কার হাতে? দেখে নেওয়া যাক। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে বীরভূমের দায়িত্ব নিজের হাতে নেওয়ার কথা আগেই বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রমো। এবার অফিসিয়ালি সেই কথা ঘোষণা করলেন মমতা। অন্যদিকে হাওড়া ও হুগলি দায়িত্বে থাকছেন ফিরহাদ হাকিম। বর্ধমান, নদিয়া ও দার্জিলিং-এর দায়িত্ব থাকছে অরূপ বিশ্বাসের হাতে। মলয় ঘটকের দায়িত্বে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া পশ্চিম বর্ধমান। দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্বে থাকবেন তাপস রায়। বীরভূমের দায়িত্ব নিজেই সামলাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদার দায়িত্বে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্বে মোশারফ হোসেন। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বেও থাকছেন মেশারফ হোসেন।
একনজরে কে কোন জেলার দায়িত্বে
- বীরভূম - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- মালদা - সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী
- মুর্শিদাবাদ - মোশারফ হোসেন
- হাওড়া ও হুগলি - ফিরহাদ হাকিম
- বর্ধমান, নদিয়া ও দার্জিলিং - অরূপ বিশ্বাস
- বাঁকুড়া, পুরুলিয়া পশ্চিম বর্ধমান - মলয় ঘটক
- দক্ষিণ দিনাজপুর - তাপস রায়
- তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল - মোশারফ হোসেন
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ নিজের কালীঘাটের বাড়িতে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন দলনেত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রথমসারির নেতা, বিধায়ক এবং সাংসদরা। বৈঠকে সাগরদিঘির উপনির্বাচনের হার, সংখ্যালঘু ভোট ইত্যাদির পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী তালিকার প্রসঙ্গ উত্থাপনের সম্ভাবনা আছে বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবারের বৈঠকে সাগরদিঘির অপ্রত্যাশিত হারের কথাও উঠে আসবে। উপনির্বাচকে ধাক্কা খেয়েই কি এবার পঞ্চায়েতে আদা জল খেয়ে লাগতে চলেছে দল? উঠছে সেই প্রশ্নও। ইতিমধ্যেই সাগরদিঘিতে হারের কারণ খুঁজতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান এবং সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী প্রসঙ্গে প্রায় দেড় ঘন্টা বৈঠক করেন। এখন পর্যন্ত পর্যালোচনায় পরাজয়ের ২৫টি কারণ উঠে এসেছে। এই কমিটি একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও তৈরি করেছে বলে জানা যাচ্ছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সীরা। আর কে কে এই বৈঠকে থাকতে পারেন তা এখনও জানা যায়নি। এদিনের বোইঠক মূলত দলের নীতি ও কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য বলেই মনে করছেন দলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন -
ডিএ ধর্নামঞ্চে আক্রান্ত নওশাদ সিদ্দিকে, 'সংখ্যালঘুদের জন্য কি করেছ'- প্রশ্ন করে ধাক্কা বিধায়ককে
নয়ডায় পুলিশের জালে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কম্বল বিলির সময় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার
কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি মুকুল রায়, মস্তিষ্কে জটিল অস্ত্রোপচার