সংক্ষিপ্ত
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দিল্লির কাছে নয়ডায় দিল্লি- যমুনা এক্সপ্রেসএয়ে থেকেই গ্রেফতার করা হল এই রাজ্যের বিজেপি নেতাকে।
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দিল্লির কাছে নয়ডায় দিল্লি- যমুনা এক্সপ্রেসএয়ে থেকেই গ্রেফতার করা হল এই রাজ্যের বিজেপি নেতাকে। শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিলি অনু্ষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। ১৪ ডিসেম্বর কম্বল বিলির সময় প্রবল ভিড় থাকায় ঠেলাঠেলিত পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক স্কুল ছাত্রী-সহ তিন জনের। এই ঘটবনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি সহ মোট তিন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রক্ষা কবচের সু্প্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা। সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল আগামী সোমবার। কিন্তু সেই সময়টুকু না নিয়েই নয়ডা থেকে রাজ্য পুলিশ বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রের খবর জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাঁর আসানসোলের ফ্ল্যাটে একাধিকবার গিয়েছিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সদস্যরা। কিন্তু তাদের ফ্ল্যাটে তালা দেওয়া থাকায় একাধিকবার তাঁকে নোটিশ পাঠান হয়। কিন্তু তিওয়ারি দম্পতি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। অন্যদিকে কম্বলকাণ্ডে গত ২২ ডিসেম্বর চৈতালির আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁকে অন্তবর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পাশাপাশি তদন্ত সহযোগিতা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের অভিযোগ ছিল চৈতালি তদন্তে সহযোগিতা করছে না। তারপরই হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা রাজ্য পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এরপরই হাইকোর্টের আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন চৈতালি ও তাঁর স্বামী জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। তারপরই তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সোমবার তাঁর আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারই মধ্যে আসানসোলের বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণ কর্মসূচির অনুষ্ঠান হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। শুভেন্দু অনুষ্ঠান মঞ্চ ত্যাগ করার পরেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভিড়ের কারণে ৩ জনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল। তারপরই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ।
জিতেন্দ্র তিওয়ারিও একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় নেতা ছিলেন। আসানসোলের মেয়রেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দল বদল করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সরাসরি চলে যান বিজেপিতে। তারপর থেকেই তৃণমূল নেতানেত্রীদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছে। তেমনই অভিযোগ তিওয়ারি দম্পতির।