Bankura News: একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাঁকুড়া। কজওয়ে ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতের সমস্যায় সাধারণ মানুষ। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…

বাঁকুড়া: সম্প্রতি নিম্নচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টির কারণে ভেঙে গেল কজওয়ে। রানিবাঁধ ব্লকের ধনকুড়া মোড় থেকে রাইপুর ব্লকের জানডাঙ্গা মোড় যাতায়াতের রাস্তায় রাইপুর ব্লকের পালি রামকৃষ্ণ আশ্রমের কাছে গত প্রায় ৬ বছর আগে ভৈরববাঁকি নদীর ওপর তৈরি করা হয়েছিল ওই কজ‌ওয়ে। অতি বৃষ্টির কারণে নদীতে বন্যার জলের চাপে ওই কজ‌ওয়ে ভেঙে যায়। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কজ‌ওয়ের ওপর দিয়ে যাতায়াত রয়েছে রানিবাঁধ ব্লকের চালকিগড়া, মদনকাটা ও রাইপুর ব্লকের সর, পালি সহ প্রায় দশ-বারোটি গ্রামের মানুষজনদের। ওই রাস্তা দিয়ে রাইপুর ব্লক সদর, মটগোদা বাজার ও রানিবাঁধ ব্লক সদর সহ স্থানীয় বারিকুল যাতায়াত রয়েছে বাসিন্দাদের। কজ‌ওয়ে ভেঙে যাওয়ার ফলে যাতায়াতের সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে কজ‌ওয়ের কংক্রিটের প্রাচীরের ওপর দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করছেন বাসিন্দারা। সম্প্রতি অনেক ছোট-বড় গাড়ির চালক বুঝতে না পেরে কজ‌ওয়ের সামনে থেকে আবার ঘুরে অন্য পথ দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। দ্রুত কজ‌ওয়ে মেরামতের দাবি বাসিন্দাদের।

রাইপুর ব্লকের বাঁশিনালা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ সিং সর্দার, কালুসাড় গ্রামের বাসিন্দা ঝাপান সিং সর্দারেরা বলেন, ‘’আমাদের ব্লক সদর রাইপুর। ওই কজ‌ওয়ের ওপর দিয়ে সর বাজার, জানডাঙ্গা মোড় হয়ে মটগোদা, রাইপুর হাসপাতাল যাতায়াত করতে হয়। কজ‌ওয়ে ভেঙে যাওয়ার ফলে অনেকটা রাস্তা ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে চরম সমস্যায় দিন কাটছে।''

 সর গ্রামের সুশান্ত চক্রবর্তী, পালি গ্রামের চিত্ত সিং সর্দারদের অভিযোগ, ওই রাস্তা দিয়ে খাতড়া মহকুমা সদর যাতায়াত করতে সময় ও খরচ কম হত। ভেঙে যাওয়ার ফলে কোন‌ও গাড়ি চলাচল করছে না। ফলে ঘুরপথে অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করে মহকুমার সদর যাতায়াত করতে হচ্ছে। খরচও বেশি হচ্ছে। রানিবাঁধের মদনকাটা গ্রামের ইঞ্জিন ভ্যানচালক মঙ্গল মাহাতো বলেন, ‘’ওই রাস্তা দিয়ে মটগোদা যেতে প্রায় কুড়ি মিনিট সময় লাগত, ওই একই রাস্তা ঘুর পথে যেতে এক ঘন্টার বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। খরচও হচ্ছে বেশি।'' দ্রুত ঐ কজ‌ওয়ে মেরামতের দাবি জানান বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে বিডিও (রাইপুর) উদয়নারায়ণ দে জানান, ওই কজওয়ে সংস্কারের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, দ্বারকেশ্বর নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়া তিন স্কুল পড়ুয়ার মধ্যে দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও এখনো নিখোঁজ এক স্কুল পড়ুয়া ।

মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর থানার সুভাষ পল্লী গ্রাম সংলগ্ন দারকেশ্বর নদীর ষারেশ্বর ঘাটে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে যায় তিন স্কুল পড়ুয়া । খবর পেয়ে তড়িঘড়ি মঙ্গলবারই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা । এবং তারা নিখোঁজ তিন স্কুল পড়ুয়ার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে । মঙ্গলবার থেকে তল্লাশি চালিয়ে বুধবার সকালে এখনও পর্যন্ত অর্কদীপ দাস ও পরমেশ্বর মিশ্র নামের দুই স্কুল পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে এবং সায়ন চ্যাটার্জী নামের নিখোঁজ থাকা অপর এক স্কুল পড়ুয়ার খোঁজে তল্লাশি চলছে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ।

জানা গিয়েছে , মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের ক্লাস নাইনের দশ জন স্কুল পড়ুয়া নদীতে ঘুরতে আসে এবং এদের মধ্যে অর্কদ্বীপ দাস , সায়ন চ্যাটার্জি ও পরমেশ্বর মিশ্র নামের তিন বন্ধু নদীতে স্নান করতে নামলে তারা তলিয়ে যায় । তারপর থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার হলেও অপর কিশোর এখনও নিঁখোজ। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।