সংক্ষিপ্ত
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল বিজেপির শীর্ষনেতারা। তখনই দিন বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ হিসেবে বিজেপি জানায়, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
সন্দেশখালি ইস্যুতে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এই আবহে বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদীর সভা ঘিরে রাজনৈতিক হাওয়া আরও গরম হতে শুরু করেছে। তবে বারাসতে মোদীর সভা করার কথা ছিল ৬ই মার্চ। তা পরে বদলানো হয়। কিন্তু কেন। সাফাই দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে ৮ মার্চ বারাসতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল বিজেপির শীর্ষনেতারা। তখনই দিন বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ হিসেবে বিজেপি জানায়, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ওই দিন বারাসতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে দিনই প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে হাজির করানো হতে পারে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের। আরও জানা গিয়েছে, ১ মার্চ আরামবাগ, ২ মার্চ কৃষ্ণনগর এবং ৮ মার্চ বারাসতে সভা করবেন মোদী। সে দিন মহাশিবরাত্রি। তাই বিজেপি নেতৃত্ব সভার নাম দিয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দনা কর্মসূচি’।
প্রথমে বারাসতের সভা করার দিন ৬ মার্চ ঠিক হলেও সন্দেশখালির পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর সভা করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় বিজেপি। কারণ, সন্দেশখালিতে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বছরের পর বছর সেখানকার মা-বোনেদের রাতের অন্ধকারে পার্টি অফিসে ডেকে তাঁদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। সেই অভিযোগগুলিকেই এবার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে নিয়ে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই ইস্যুতেই প্রচারে ঝড় তুলতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।
বারাসতের সভায় সন্দেশখালির নির্যাতিত মহিলাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন মোদী। সরব হতে পারেন মহিলাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রীর মুখে রাজ্যের শাসকদলের এমন সমালোচনা লোকসভা ভোটের আগে অস্বস্তির কারণ হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।
সন্দেশখালিতে একের পর এক মহিলা তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতনের অভিযোগ তুলে অভিযুক্ত করতে থাকেন তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের। অভিযুক্ত দুই নেতা গ্রেফতার হলেও বেপাত্তা শাহজাহান। বিক্ষোভ বেড়েই চলেছে মহিলাদের। সেই ক্ষোভের আঁচ প্রধানমন্ত্রীর সভায় তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।