সংক্ষিপ্ত
তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে কেন্দ্র করে ৫ জানুয়ারি থেকেই উত্তাল সন্দেশখালি। এই শাহজাহানই নুসরতের জয়ের অন্যতম কারিগর। পরবর্তীকালে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে স্থানীয়রা সরব হয়
সন্দেশখালি ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুললেন স্থানীয় সাংসদ নুসরত জাহান। রবিবার তণমূল সাংসদ সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্দেশখালি ইস্যুতে একটি লম্বা-চওড়া পোস্ট করেন। সেখানে তিনি রাজনীতি বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তিনি নির্বাচনী এলাকার মানুষের সেবা করেছেন। তাঁরে সুখ-দুঃখে সামিল হয়েছেন। পাশাপাশি সন্দেশখালি নিয়ে যে রাজনীতি হয়েছে তা বন্ধ করারও আবেদন জানান।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নুসরত জাহান বলেছেন, 'এই ধরনের অভিযোগ হৃদয় বিদারক। একজন নারী হিসেবে , একজন জনপ্রিতিনিধি হিসেবে আমি সবসময় আমার দলের নির্দেশ অনুসরণ করেছি ও জনগণের সেবা করেছি। সন্দেশখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সাহায্য পাঠিয়েছেন.. এবং জনগণের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমরা আইনের ঊর্ধ্বে নই.. তাই এটি মেনে চলা আমাদের দরকার।আমি সত্যিকার অর্থে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সেবা করেছি, আনন্দের সময়ে, দুঃসময়ে.. আমি আমার দলের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করি.. এবং আমি বিশ্বাস করি আমাদের রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে, ভুল কী? সর্বদা নিন্দা করা হবে .আমাদের অবশ্যই একে অপরকে টার্গেট করা থেকে বিরত থাকতে হবে .. এবং শান্তি তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য একত্রিত হতে হবে এবং বিশৃঙ্খলা নয়। জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার.. বাকিটা কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। যেমনটি আমি আগেই বলেছি.. আমি আবার পুনরাবৃত্তি করব "রাজনীতি করা বন্ধ করুন।' দেখুন নুসরতের পোস্ট।
তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে কেন্দ্র করে ৫ জানুয়ারি থেকেই উত্তাল সন্দেশখালি। এই শাহজাহানই নুসরতের জয়ের অন্যতম কারিগর। পরবর্তীকালে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে স্থানীয়রা সরব হয়। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছিল। সেই সময় থেকেই বিরোধী বিশেষ করে বিজেপি নুসরতকে একহাত নিয়েছে। নুসরত এলাকায় যায় না বলেও অভিযোগ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারেও অভিযোগও একই। যা নিয়ে এদিন একটি দৈনিকে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। নুসরত তারও একটি স্ক্রিনশর্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।