সংক্ষিপ্ত

বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। সেই অবস্থাতেই বাইকে করে এগড়া থেকে ওড়িশার দিকে রওনা দেন তিনি।

অবশেষে পুলিশের জালে আটক এগড়া বিস্ফোরনকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ। ঘটনার দু'দিনের মাথায় ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয় বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপ্রসাদ বাগ ওরফে ভানু বাগকে। বৃহস্পতিবার কটকের হাসপাতাল থেকে আটক করা হয় তাঁকে। সিআইডির দাবি, বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। সেই অবস্থাতেই বাইকে করে এগড়া থেকে ওড়িশার দিকে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর ছেলেও। ওড়িশায় এসে কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ভানু।

জখম গুরুতর হওয়ায় এক্ষুণি তাঁকে নিয়ে আসা হবে না। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে আপাতত কটক হাসপাতালেই রাখ হবে ভানু বাগকে। এরপর ভবানীভবনে নিয়ে আসা হতে পারে। মঙ্গলবার এই বিস্ফোরণের পরেই বাজি কারখানা সিল করে দেয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বাড়ির মধ্যেই বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল। সেখানেই বিস্ফোরণ হয়। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আসপাশের এলাকাও কেঁপে ওঠে। গোটা কারখানাটি ধসে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর তিন মহিলা-সহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে কিছুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা আরও বলেন, এগরার সাহারা গ্রামের পঞ্চায়েত আগে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল। কিন্তু মাস খানেক আগে নির্দল সদস্যকে প্রধান করে বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করে। এদিন বিস্ফোরণের পর স্থানীয় বিধায়ককে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। এদিন সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন।