সংক্ষিপ্ত
সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানাল রাজ্য। আবেদনে সারা দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এবার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য। রাজবংশী কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই মামলায় মামলায় এক কর্মরত আইপিএসের সঙ্গেই অবসরপ্রাপ্ত দুই আইপিএসকে রেখে সিট গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের পক্ষ থেকে। সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানাল রাজ্য। আবেদনে সারা দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের পক্ষ থেকে এই মামলায় বৃহস্পতিবারই শুনানির আবেদন করা হয়। তবে এত দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে আদালত।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার রায়ের বিরোধিতায় রাজ্য
রাজ্যের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার তদন্ত করতে পারেন না। তাই সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়ের বিরোধিতায় ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা গ্রামের বাসিন্দা কিশোরী। এলাকারই এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর আর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরা পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বারস্থ হন। সেখানেই তারা জানতে পারে নাবালিকা তার প্রেমিকের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর নিথর দেহ।
তারপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির প্রতিনিধি দল। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এদিন সাহেবঘাটা পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, ইংরেজ বাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী-সহ বিজেপির একাধিক রাজ্য প্রতিনিধি দল। গোটা ঘটনাকে পুলিশের চূড়ান্ত ব্যর্থতার ফল বলেই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি। চোপড়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেও পুলিশ ও রাজ্য সরকারকে দুষলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি চোপড়ায়ও একই ধাঁচে আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন এক রাজবংশী মেয়ে। সেক্ষেত্রেও আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করেছিল পুলিশ। একই ধাঁচে বারবার অপরাধ সংগঠিত হওয়া সত্ত্বেও ঠিকভাবে তদন্ত করছে না পুলিশ। এখানেই শেষ নয় প্রতিটি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়াতে কালিয়াগঞ্জের আইসির ভূমিকা আছে বলেও দাবি করেন তিনি। অবিলম্বে আইসি এবং গ্রামের প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্তেরও দাবি তোলেন সুকান্ত।
আরও পড়ুন -
ভরা বাজারে আচমকা সেনার গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ! বিকট শব্দে কাঁপল এলাকা-জখম সেনাকর্মী সহ স্থানীয়রা
জট কাটাতে এগিয়ে এলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, কুড়মি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক মমতার
'নিঃশর্ত ক্ষমা চাইটে হবে দিলীপ ঘোষকে', সাংসদের বাড়ির গেট ভেঙে ঢুকে পড়লেন কুড়মি বিক্ষোভকারীরা