সংক্ষিপ্ত

Suvendu on Murshidabad: মুর্শিদাবাদে অশান্তি পাকানোর পিছনে রয়েছে বাংলাদেশের ২টি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাত রয়েছে বলে আগেই দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার সেই দাবিকে মান্যতা দিলো খোদ পুলিশ প্রশাসন।           

Suvendu on Murshidabad: মুর্শিদাবাদে অশান্তি পাকানোর পিছনে রয়েছে বাংলাদেশের ২টি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাত রয়েছে বলে আগেই দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার সেই দাবিকে মান্যতা দিলো খোদ পুলিশ প্রশাসন। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের ইসলামিক সংগঠন আনসারুলের হাত রয়েছে বাংলায় অশান্তির পিছনে।

পুলিশ সূত্রে খবর, কট্টর ইসলামী সংগঠন এসডিপিআই-এর সদস্যরা গত বেশ কয়েক দিন ধরে এলাকায় মুসলিম যুবকদের উস্কানি দিচ্ছিলো। পুলিশের তরফে দাবি এসডিপিআই ঘরে ঘরে হিংসা ছড়াতে এটি করছিল। শুধু তাই নয়, পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় প্রাণ হারানো এজাজের পরিবারের সদস্যরাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই বিষয়ে আরও দাবি করা হয়েছে যে, মুর্শিদাবাদে অশান্তি ছড়ানোর জন্য সোশ্যাল কেরালা ইসলাম চরমপন্থী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়াও এর সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই এই ঘটনার মামলায় তদন্তকারী রাজ্য পুলিশও মুর্শিদাবাদের অশান্তির পিছনে এসডিপিআই-এর হাত থাকার জোরালো সম্ভাবনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত ইসলামপন্থী সংগঠনগুলির ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, ওয়াকফ ইস্যুতে অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশের আরও দাবি, একসময় মুর্শিদাবাদে শক্তিশালী ছিল স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া। পরবর্তীকালে এই সিমির লোকেরা কেরালা ভিত্তিক কেন্দ্রীয় নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যোগ দেয়। এবং ধীরে ধীরে মুর্শিদাবাদে এদের ঘাঁটি শক্তিশালী তৈরি হয়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া আর এসডিপিআই-এর সদস্যরা মুর্শিদাবাদের অশান্তির পিছনে মদতদাতা হিসেবে কাজ করতে পারে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার ইউপিএ আইনের অধীনে সিমি ও কেরালার সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে।

উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে সোমবার ফের সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি জাভেদ শামীম। এদিন জাভেদ শামীম বলেন, ''মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি মোটের উপর স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে মুর্শিদাবাদ। যারা গুজব ছড়িয়ে এই অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তাদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। খুঁজে খুঁজে সবাইকে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে। দরকার পড়লে পাতাল থেকে খুঁজে বের করে আনা হবে অপরাধীদের। সে যেই রাজনৈতিক দলের লোক হোক কিংবা কোনও সংগঠনের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।''

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।