সংক্ষিপ্ত
চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগে কোচবিহারে তৃণমূল নেতাদের নামে পোস্টার। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও কল্যাণী পোদ্দারের নামে পোস্টার। মারধর করার হুঁশিয়ারি।
চাকরি দেওয়ার নাম করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা টাকা তুলছেন- এমনই অভিযোগে উত্তপ্ত কোচবিহার। শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে। যা নিয়ে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। তবে পোস্টারে কারও নাম নেই। তাই কারা এজাতীয় পোস্টার ছড়াচ্ছে তা নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ছে।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও কোচবিহার জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণী পোদ্দার এই দুইজনের নামে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা হয়েছে । এমনই অভিযোগে কোচবিহার শহরের MJN রোড সংলগ্ন সাগরদিঘী এবং নরসিংহ দিঘি আর আর এন রোড উপর লিফলেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কোচবিহার শহরের সাগরদিঘী সহ বেশ কয়েকটি রাস্তায় একটি লিফলেট পড়ে থাকতে দেখা যায় । লিফলেট এর শিরোনামে লেখা রয়েছে "জনতার হুঁশিয়ারি " সাম্প্রদাতিক আমাদের দলের বর্তমান পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও কল্যাণী পোদ্দার কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেছে । যাহা কুচবিহারবাসীর কাছে অবগত রয়েছে । কোটি কোটি টাকা সম্ভাব্য কোচবিহারে তুলেছে চাকরি দিতে পারেনি । টাকা গায়েব করে দিয়েছে । যে টাকার কিছু অংশ কলকাতায় দেওয়া হয়েছে । আর কল্যানী পদ্মার বদলি ও চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন । তিনি তরুণ তরুণী চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমাদের সময় এসেছে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে টাকা আদায় করা । টাকা ফেরত না দিলে তাদের পিঠের চামড়া উঠিয়ে নেওয়া হবে । শেষে লেখা রয়েছে কোচবিহার এর জনগণ ।
এমন লিফলেট চিঠি শহরের রাস্তায় পড়ে থাকা কে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পরে গিয়েছে কোচবিহারে । তবে কারা এই চিঠি রাস্তায় ফেলল তা নিয়ে উঠছে বিভিন্ন প্রশ্ন ।
তবে এই বিষয়ে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি আরও বলেছেন দম থাকলে সামনে আসুক। তাদের স্মান হানির জন্য এজাতীয় কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। তার কথায় বিজেপি এজাতীয় পোস্টার দিয়েছে। তবে আইনি ব্যবস্থা নেবেন কিনা তা এখনও তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা টাকা তুলেছেন। বিরোধীরা শক্তিশালী হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষ এজাতীয় পোস্টার দিয়েছে। আগামী দিনে সাধারণ মানুষ তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে বার হতে দেবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।