সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, 'এটি একটি নতুন ধরনের পরিকল্পনা। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে যদি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি থাকে তাহলে রাজ্য সরকারগুলিও চাইবে তাদের প্রতিনিধিদের কলেজিয়ামে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাতে।

কেন্দ্রীয় সরকার আদালতের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চায়। মঙ্গলবার কেন্দ্রের উচ্চ বিচারবিভাগে নিয়োগ অর্থাৎ কলেজিয়াম নিয়ে প্রস্তাবের তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে বিজেপি প্রশাসন আদালতের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করতে চায়। তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে বলেও দাবি করেছেন। বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারে প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে উচ্চ আদালতে নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার যে সুপারিশ করেছে তার কোনও মূল্য থাকবে না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, 'এটি একটি নতুন ধরনের পরিকল্পনা। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে যদি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি থাকে তাহলে রাজ্য সরকারগুলিও চাইবে তাদের প্রতিনিধিদের কলেজিয়ামে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাতে। ' তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন 'এর ফল কি হবে? রাজ্য সরকারের সুপারিশের কোনও মূল্য থাকবে না। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করবে। যেটা আমরা চাই না।'

মাত্র এক দিন আগেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু কলেজিয়াম পদ্ধতিতে উচ্চতর বিচার বিভাগে নিয়োগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনীত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিয়েছেন। যদিও তার আগে থেকেই একাধিক অনুষ্ঠানে এই দাবি তিনি করছিল। এই ঘটনার এক দিন পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলেজিয়াম নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

অন্যদিকে দেশের বিচার বিভাগ একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'আমি জানি যে কলকাতা হাইকোর্টে যে বিচারকই পাঠান হোক না কে যদি তাদের সমর্থক হয় তাদের এক মাসের মধ্যেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর যদি তা না হয় তাহলে তিন বছর সেখানে রেখে দেওয়া হয়।' কারও নাম না করেই এই কথা বলেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য । তিনি রাজশেখর মান্থার আদালতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন 'এটাই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা।' তিনি আরও অভিযোগ করেন যে তৃণমূল কংগ্রেস নিম্ন আদালতে তাদের অধীনে নিয়ে আসতে চাইছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার লাগান হয়েছে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা।