সংক্ষিপ্ত

গত বুধবার ইডি গিয়েছিল নদিয়ার বিভিন্ন রেশন দোকান এবং দোকানের মালিকের বাড়িতে। একই দিনে সল্টলেক এবং নিউ টাউনের অনেকগুলি জায়গাতেও তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।

রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বাকিবুর রহমান সম্পর্কে ইডি পেল প্রচুর তথ্য। বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাস এবং স্ত্রী জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেছিলেন বাকিবুরই। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গত বুধবার সকাল থেকে ব্যবসায়ী বাকিবুরের কলকাতার কৈখালির ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল ইডি। বাকিবুরের পাশাপাশি, তাঁর শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসের চিনার পার্কের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি চালানো হয়।

গত বুধবার ইডি গিয়েছিল নদিয়ার বিভিন্ন রেশন দোকান এবং দোকানের মালিকের বাড়িতে। একই দিনে সল্টলেক এবং নিউ টাউনের অনেকগুলি জায়গাতেও তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। ইডি সূত্রে জানা যায়, তল্লাশির পাশাপাশি, জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় অভিষেককে। ইডি সূত্রে জানা যায়, বাকিবুরের কৈখালির ফ্ল্যাট থেকে ১০০-র বেশি সরকারি দফতরের স্ট্যাম্প মিলেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে এ-ও জানা যায় যে, খাদ্য সরবরাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১০৯টি স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে।

প্রায় ৫৪ ঘণ্টা ধরে এক টানা তল্লাশির পর বাড়ির মালিক ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে শুক্রবার সকালে আটক করে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরও জিজ্ঞাসাবাদের তাঁকে জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ইডি দফতর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে।

২০২১ সালে করোনা পরবর্তী সময়ে অভিযোগ উঠেছিল যে, নদিয়া জেলার বেশ কিছু জায়গায় রেশনে খুব খারাপ মানের চাল, খাদ্য-সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। এই কাণ্ডের তদন্তভার গিয়েছে ইডি-র হাতে। এরপরই বাকিবুরের অফিস, চালকল-সহ বিভিন্ন জায়গায় হানা দেওয়া হয়। ইডি সূত্রে জানা গেছে, বাকিবুর রহমানের হাত ধরে ‘রেশন দুর্নীতির’ বিপুল অঙ্কের কালো টাকা সাদা হয়েছে। যদিও সাংবাদিকদের কাছে বাকিবুর জানিয়েছেন যে, তিনি একেবারেই নির্দোষ।