সংক্ষিপ্ত

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানো হবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত নিয়োগ দুর্নীতির মামলা। এই নির্দেশের পরের দিনই নিয়োগকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল যুব নেতাকে কুন্তল ঘোষকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয়। এদিন সাংবাদিকদের সামনে এই ইস্যুতে মন্তব্য করলেন না তিনি। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয় কুন্তল ঘোষকে। আদালত চত্ত্বরে তাঁকে ঘিরে ধরে সাংবাদিকরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করলে কোনও মন্তব্য করেনি তিনি। এর আগে একাধিকবার সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলেছেন তিনি। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একটা কথাও না বলে ভেতরে ঢুকে যান কুন্তল।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানো হবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতি মামলা বিচারপতির এজলাস থেকে সরানো হলে এর আগে যে সব মামলায় তিনি রায় দিয়েছেন সেই মামলাগুলির ভবিষ্যত তবে কী হতে চলেছে? উঠছে প্রশ্ন। অবশেষে এই বিষয় মুখ খুললেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তিনি স্পষ্টই জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা নয়, শুধু মাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত মামলাটিই (ধৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত) কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। এই প্রসঙ্গে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্টই জানান এই তথ্য পুরোপুরি ঠিক নয়। তিনি বলেন,'শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত মামলাটি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি মামলাগুলি যেমন চলছিল চলবে।' তিনি আরও বলেন,'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয়েছে। সিবিআই চাইলে যে কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার করতে পারবে তাঁকে। অর্থাৎ যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়, তবে শুধুমাত্র সেই মামলার শুনতে পারবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।' আইনজীবী জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কমপক্ষে ২২টি মামলা চলছে। সেগুলিতে এই রায়ের কোনও প্রভাব পড়বে না।