সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুরু হওয়া আন্দোলনের জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছে দল। এই পরিস্থিতিতে দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে তৃণমূল নেতৃত্ব প্রচার এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় জোরদার প্রচার চালাচ্ছে।

আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়ার ডাক্তারদের শুরু করা আন্দোলন আর চিকিৎসক মহলে সীমাবদ্ধ নেই। তা ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই। রীতিমত আঁচ লেগেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় ভাবমূর্তিতে। এই অবস্থায় দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে দ্বিমুখী লড়াইয়ে রাস্তায় নামছে শাসক শিবির। এলাকায় এলাকায় প্রচারের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও কড়া জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।

তৃণমূল সূত্রের খবর আরজি কর ইস্যুতে দলের অন্দর আর বাইরে- সর্বত্রই সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা ঘোলাজলে নেমে মাছ ধরতে শুরু করেছে। দলের অনেক নেতাই প্রকাশ্যা আরজি কর ইস্যুতে মুখ খুলতে শুরু করেছে। যাতে সুযোগ পাচ্ছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় দলের ভাবমূর্তি আরও খারাপ হচ্ছে। দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে প্রকাশ্য অনেক নেতাকেই মুখ খুলতে নিষেধ করা হয়েছে। দলের মুখপাত্র ছাড়া কেউ যাতে আর প্রকাশ্যে মুখ না খোলেন তারই নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ড্য়ামেজ কন্ট্রোলে।

শহর থেকে গ্রাম -সর্বত্রই প্রচার শুরু করেছে। মহিলাদের সামনে রেখেই প্রচার করার পরিকল্পনা তৃণমূল কংগ্রেসের। বিরোধীরা আরজি কর ইস্যুতে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে - এটাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করার কথা বলা হয়েছে ওপর মহল থেকে। তেমনই বলছে তৃণমূলের একটি সূত্র।

সাংসদ ও বিধায়কদের নিজের নিজের এলাকায় প্রচার জোরদার করতে বলা হয়েছে। জনসংযোগ বাড়াতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহিলা নিরাপত্তায় মমতা-সরকার কী কী কাজ করছে তাও তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে। দলের নির্দিষ্ট কর্মসূচি ছাড়াও তৃণমূলের সমস্ত নেতারা এলাকার প্রয়োজন জনসংযোগ বাড়াতে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেন- এমনটাও বলা হয়েছে। জনমত ফিরে পেতে দুর্গা পুজোর মরশুমকে কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।