সংক্ষিপ্ত

পুজোর মধ্যেই আবার পুর্ণ সময়ের কর্মবিরতির কথা বলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু এই অবস্থায় আজ, বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তাররা সিনিয়র ডাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।

 

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে এখনও সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও সরব তাঁরা। এই অবস্থায় জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির পথে যেতে চাইছে। কিন্তু প্রবীণ চিকিৎসকরা পুজোর মুখে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ এবার আর কর্মবিরতিতে যেতে রাজি নন। এই অবস্থায় কর্মবিরতি ছাড়া আন্দোলনের দ্বিতীয় বিকল্প কী? তা নিয়ে এবার রাজ্যের সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দ্বিতীয়বার পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাবেন কিনা? যদি না কর্মবিরতিতে যায় জুনিয়র ডাক্তাররা তাহলে বিকল্প পন্থা কী? এই নিয়েই সিনিয়র ডাক্তারদের থেকে পরামর্শ চাইছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

আগেই পুজোর মধ্যেই আবার পুর্ণ সময়ের কর্মবিরতির কথা বলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু এই অবস্থায় আজ, বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তাররা সিনিয়র ডাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। জুনিয়র ডাক্তার ও সিনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার মূল বিষয় হতে পারে পুজোর দিনগুলিতে কী হবে আন্দোলনের অভিমুখ? কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কোনও বিকল্প পথ কী হতে পারে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কিঞ্জল নন্দ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিনিয় ডাক্তারদে সঙ্গে কথা হবে। তাঁরা আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই তাঁদের পাশে ছিলেন, এখনও রয়েছেন। তাই তাঁদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। বিভিন্ন বিভাগের সঙঅগে কথা চলছে।

সম্প্রতি প্রবীণ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী সাংবাদিকদের মাধ্যমেই জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁরা যেন পুজোর মধ্যেই পূর্ণ সময়ের কর্মবিরতিতে না যান। তাতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। গরীব বা পিছিয়ে পড়াদের সমস্য়া হবে। তিনি আরও বলেছেন সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চললেও রাজ্য সরকারের কিছু আসবে যাবে না। কিন্তু সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ।

অন্যদিকে রাজ্যের সাধারণ মানুষও জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। হাসপাতালের একাধির রোগী চিকিৎসা না পেয়ে বলছেন, তাঁরা আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। রাত দখল থেকে শুরু করে সবেতেই রয়েছেন। কিন্তু তারপরেও হাসপাতালে কর্মবিরতির জেরে তাঁদেরই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। বিশেষ করে পুজোর সময় যখন অধিকাংশ ডাক্তারদের চেম্বার বন্ধ থাকে, হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদেরও দেখা পাওয়া যায় না- তখন জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি ঠিক নয় বলেও জানিয়েছেন।

অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে সিনিয়র ডাক্তারদের অনেকেই বলেছেন, আন্দোলনের কারণে যাতে রাজ্যের সাধারণ মানুষ সমস্যায় না পড়ে সেটাই খেয়াল রাখা জরুরি। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সেটা নিয়েই আলোচনা হবে। আন্দোলনটি যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার দিকেই খেয়াল রাখা হচ্ছে। আরজি করের নির্যাতিতার বিচার পাওয়া ও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি তাদের প্রধান লক্ষ্য।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।