সংক্ষিপ্ত
গত কয়েকদিন ধরে সন্দেশখালি এলাকায় বিক্ষোভরত স্থানীয় লোকজনকে রাস্তায় নেমে প্রচুর মিষ্টি বিতরণ করতে ও আনন্দে নাচতে দেখা যায়। গত ৫৫ দিন ধরে পলাতক শাজাহানের গ্রেপ্তারে সবাই আনন্দ উদযাপন করেছে।
বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে যেন স্বাধীনতা পাওয়ার দিন। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত তৃণমূূল নেতা শাহজাহান শেখের গ্রেপ্তারে আনন্দে মাতল এলাকা। শাহজাহানের বিরুদ্ধে মহিলাদের যৌন শোষণ ও জমি দখলের অভিযোগ ছিল। তাই এদিন সবাই এলাকায় প্রচুর মিষ্টি বিতরণ করেন। উল্লেখ্য তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সদর দফতর ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে সন্দেশখালি এলাকায় বিক্ষোভরত স্থানীয় লোকজনকে রাস্তায় নেমে প্রচুর মিষ্টি বিতরণ করতে ও আনন্দে নাচতে দেখা যায়। গত ৫৫ দিন ধরে পলাতক শাজাহানের গ্রেপ্তারে সবাই আনন্দ উদযাপন করেছে।
স্থানীয়রা কী বললেন
একজন স্থানীয় বলেন, 'আমরা খুব খুশি যে তাকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা শুধু আশা করি তাকে জেলেই রাখা হবে এবং সে আর কখনো এই এলাকায় ফিরে আসবে না। এলাকার বহু মানুষের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে ওই নেতা। একইভাবে একজন মহিলাও তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, 'আমরা আশা করি তার অন্য সহযোগীদেরও জেলে পাঠানো হবে।'
কলকাতা থেকে সন্দেশখালির দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। সুন্দরবনের সীমান্ত ঘেঁষে এই এলাকাটি নদীর তীরে অবস্থিত। শাহজাহান শেখ ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে যৌন শোষণ ও জমি দখলের অভিযোগে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এখানে বিক্ষোভ চলছিল। শাহজাহান এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে জমি দখলের জন্য যৌন হয়রানির অভিযোগ এবং কর্তৃপক্ষের হাত থেকে বাঁচতে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে অভিযুক্ত শাহজাহান শেখকে বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেশখালি দ্বীপ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মিনাখাঁর একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নেতা কিছু সহযোগী নিয়ে বাড়িতে লুকিয়ে ছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।