সংক্ষিপ্ত
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিন নম্বর বিধায়ক সিবিআই-এর জালে। গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়োঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দীর্ঘ জেরার পর সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলায় তাঁরই বাসভবন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে গ্রেফতার করে সিবিআই। টাকার বিনিময় বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে তাঁর বাড়িতেই ছিল সিবিআই আধিকারিকরা। দুটি ফোন পাওয়ার পরই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
এদিনই মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতা আনা হয় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। সিবিআই কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তাঁকে কলকাতা নিয়ে আসে। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্টের পরই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। টানা ৬৫ ঘণ্টা জেরার পর সোমবার ভোরবেলা তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাড়ে ১০টার মধ্যেই মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতা আনা হয়। জীবনকৃষ্ণ সাহা হল তৃণমূল কংগ্রেসের তৃতীয় বিধায়ক, যিনি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হলেন। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে, যিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। গ্রেফতার করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকেও। তিনি তৃণমূলের বিধায়কের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিও ছিলেন।
জীবন কৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন,তাঁরা গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। এই বিষয়ে কোনও এখনই আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। অন্যদিকে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারি নিয়ে কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, কারও কাছে টাকা রেখে দিয়ে দাবি করা যেতেই পারে এত টাকা উদ্ধার হয়েছে। বিষয়টি যতক্ষণ প্রমাণ না হয় ততক্ষণ কিছু বলা যায় না। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার চাইছে বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের উপস্থিতি কমানে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি, সিবিআইকে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আইন আইনের পথে চলবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।
অন্যদিকে জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপির জীতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, সাহা হলেন তৃতীয় তৃণমূল বিধায়ক যিনি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতারি গুলি প্রমাণ করে যে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে। রাজ্যের সরকারি চাকরি বিক্রি করার জন্য তারা একটি সমান্তরাল কমিশন দেওয়ার পরিষেবা প্রতিষ্ঠা করেছিল। তবে তৃণমূল নেতা কুণাল অবশ্য অভিযোগ করেছেন এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর যোগ রয়েছে। তারপরেই তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।