সংক্ষিপ্ত
ডিভিসি থেকে ছাড়া জল এবং মুষলধারে বৃষ্টির ফলে হুগলি জেলার গঙ্গা তীরবর্তী পশ্চিমপাড়ের চুঁচুড়া,বাঁশবেড়িয়া, বলাগড়েও প্রায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জল উঠেছে হুগলির বালির মোড় সংলগ্ন কালীতলা অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায়।
বন্যা পরিস্থিতিতে হুগলির চুঁচুড়াবাসীর নয়নের মনি হয়ে উঠেছেন হুগলি দাবাং তরুণ তুর্কি মহিলা ডব্লিউবিসিএস অফিসার। বন্যার পরিস্থিতি এবং বন্যার পরবর্তী পরিস্থিতি ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, ডিসেন্ট্রি মহামারী থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন হুগলী-চুঁচুড়া এসডিও স্মিতা সান্যাল শুক্লা।
ডিভিসি থেকে ছাড়া জল এবং মুষলধারে বৃষ্টির ফলে হুগলি জেলার গঙ্গা তীরবর্তী পশ্চিমপাড়ের চুঁচুড়া,বাঁশবেড়িয়া, বলাগড়েও প্রায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জল উঠেছে হুগলির বালির মোড় সংলগ্ন কালীতলা অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায়। এদিন এই অঞ্চলে জলমগ্ন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সশরীরে হাজির হন চুঁচুড়া সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা।
তিনি পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাসকে জরুরী পরামর্শ ও দেন। মহিলা এসডিও সাধারণ মানুষকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন যে সরকার প্রশাসন এবং পৌরসভার তরফে সবরকম ব্যবস্থা করা হবে।
ইতিমধ্যেই গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ জায়গায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া এবং তাদেরকে যথাযথ ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া ও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং বন্যা পরিস্থিতির পর ও যখন বন্যার জল নামতে শুরু করবে তখন ও সাধারণ মানুষের কোন অসুবিধে হবে না। গোটা এলাকাটি সংক্রমণমুক্ত রাখার জন্য এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পরামর্শ দেন তিনি, যেন সেখানে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া, ডায়েরিয়া-ডিসেন্ট্রি মত কোন মহামারি সাধারণ মানুষকে গ্রাস না করে। গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় যাদের বাড়ি ধসে গেছে তার বিষয়েও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।