সংক্ষিপ্ত
চিকিৎসকদের একাংশ জনিয়েছে, জুলাই মাসে হঠাৎ করেই চুঁচুড়া সরকারি হাসপাতালে সিজারের পর একাধিক প্রসূতি অসুস্ত হয়ে পড়েন।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই এই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যারমধ্য সবথেকে আশঙ্কাজনক হল সরকারি হাসপাতালের নিম্নমানের ওষুধ বিলি! এই ঘটনা শুধুমাত্র গ্রামে নয়, কলকাতার প্রথম সারির হাসপাতাগুলিতেও হয়। চুঁচুড়া থেকে শুরু করে রাজ্যের সবথেকে বড় সরকারি হাসপাতাল- এসএসকেএম-এও এজাতীয় ঘটনা ঘটে। কিন্তু কী করে নিম্নমানের ওধুষ সরবরাহ করা হয় - তাই নিয়ে উঠতে শুরু করেছে।
চিকিৎসকদের একাংশ জনিয়েছে, জুলাই মাসে হঠাৎ করেই চুঁচুড়া সরকারি হাসপাতালে সিজারের পর একাধিক প্রসূতি অসুস্ত হয়ে পড়েন। যারমধ্যে কয়েক জনের মৃত্যু হয়। আচমকা প্রসূতিদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা সেটাই প্রথম ছিল না। তার আগে এসএসকেএম ও উলুবেড়িয়ার হাসপাতালেও একই ঘটনা ঘটে। কিন্তু এর কারণ কী- তারই উত্তর খুঁজতে শুরু করেছে চিকিৎসকদের একাংশ।
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের মতে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে যে ওষুধ দেোয়া হয় তার মান খারাপ। সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে হাসপাতালে সুস্থ হতে আসা অসুস্থরা। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসরাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক হেমোটোলজিস্ট প্রান্তর চক্রবর্তী দাবি করেছেন ক্যান্সারে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বিনামূল্যের ওষুধ দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই ফলাফল খারাপ হতে শুরু করে। তিনি তাঁর রিপোর্টও দিয়েছিলেন। অনেকের কথায় রাজ্যে ওষুধের মান নির্ণয় করার ল্যাবরেটরির বেহাল দশা। তাই যথাযথ পরীক্ষা করা যায় না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।