সংক্ষিপ্ত

ইচ্ছেমতো বদল করা চলবে না কোনও ভবন, মেরামতির ক্ষেত্রেও রাখতে হবে বিশেষ নজর। শান্তিনিকেতনে এখন একগুচ্ছ কড়া নিয়মের গণ্ডী। 

সৌদি আরবের রিয়াধে আয়োজিত বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির (UNESCO) সভায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের ক্ষেত্র (World Heritage Site) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই সম্মান লাভ করা যতটা কঠিন, তার চেয়ে আরও কঠিন হল এই সম্মান গ্রহণ করার পর আদর্শ নিয়মগুলি মেনে চলা। এবার থেকে অনেকগুলি কড়া নিয়মের মধ্য দিয়ে চলতে হবে এই ঐতিহ্যক্ষেত্রকে। 

বিশ্বভারতীর শিক্ষাঙ্গন ছাড়িয়েও অনেকখানি অঞ্চল UNESCO-র হেরিটেজের অন্তর্গত হয়েছে। আশ্রম ভবন, কলা ভবন, সঙ্গীত ভবন, উত্তরায়ণ, তার ভেতরে থাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসগৃহ উদয়ন, উদীচী, শ্যামলী, পুনশ্চ, কোনার্ক ছাড়াও UNESCO-র ঐতিহ্যক্ষেত্রের সীমানার মধ্যে রয়েছে উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা, এমনকি মুক্ত বিদ্যালয়ের জায়গাগুলিও। শান্তিনিকেতনের সংরক্ষণ-স্থপতি মণীশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রথম থেকে যা যেমনভাবে ছিল, সবকিছু ঠিক তেমনভাবেই গুছিয়ে যত্ন নিয়ে রাখতে হবে, কোনওকিছুতে কোনও বদল আনা চলবে না। এই সবকিছুই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। 

বিশ্বভারতীর অধীনস্থ মূল এলাকার বাইরের অংশে খেলার মাঠ বা পড়ুয়াদের ছাত্রাবাসের জায়গায় কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই স্থানে প্রয়োজন হলে নতুন নির্মাণ করা যেতে পারে। তবে সেই নির্মাণের জন্যেও নির্দিষ্ট নিয়ম থাকছে, ইচ্ছেমতো বদল করা চলবে না। এর জন্য নতুন কমিটি তৈরি করতে হতে পারে বিশ্বভারতীকে।  ঐতিহ্যশালী স্থাপত্যের কোনও ক্ষতি হয়, এলাকাকে এমন দূষণ থেকে দূরে রাখার ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। এর জন্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কথাও বলে দিয়েছে ইউনেস্কো।

আরও পড়ুন- 

Fire News: দাউদাউ করে জ্বলছে দুর্গাপুরের উন্নয়ন পর্ষদের অফিস, মধ্যরাত থেকে পুড়ছে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাগজপত্র
কানাডার খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জারের হত্যার সঙ্গে ভারতের যোগ? মোদীর সঙ্গে আলোচনার পরেও বিস্ফোরক অভিযোগ জাস্টিন ট্রুডোর
Ganesh Chaturthi: একটি নয়, একসঙ্গে দু'জন স্ত্রীয়ের পতিদেব হলেন ভগবান শ্রী গণেশ, এর নেপথ্যে পৌরাণিক কাহিনী জানেন কি?