দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরছেন সোনালি খাতুন ও তাঁর ৮ বছরের সন্তান সাবির শেখ। প্রথমেই তাঁদের কলেজ হাসপাতালের ট্রমা বিভাগে ভর্তি করা হয়। আজ, শনিবার তাদেরকে বীরভূমের পাইকোর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরছেন সোনালি খাতুন ও তাঁর ৮ বছরের সন্তান সাবির শেখ। প্রথমেই তাঁদের কলেজ হাসপাতালের ট্রমা বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁদের দুই জনেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। আজ, শনিবার তাদেরকে বীরভূমের পাইকোর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে রামপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। গতকাল রাতেই মালদায় এসে পৌঁছেছেন সোনালীর বাবা ভদু শেখ সহ আর আত্মীয়-স্বজন। সোনালী পরিবারের বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছে সোনালীকে তার গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে হবে। বর্তমানে সোনালী খাতুন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারের আশঙ্কা যেকোনো মুহূর্তে সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হবে চিকিৎসার জন্য।

উল্লেখ্য গতকাল মহদীপুর ভারত বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত দিয়ে সোনালী এবং তার সন্তানকে বাংলাদেশ পুলিশের মারফত বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকেই সরাসরি মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোনালীকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গতকাল রাতেই সোনালীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি জানান বর্তমানে সোনালীর সমস্ত রকম পরীক্ষা করার পর তার বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় আজ সোনালিকে অ্যাম্বুলেন্সে করেই তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।

বাংলাদেশী নাগরিক সন্দেহে সোনালি ও তাঁর সন্তানকে সীমান্ত পার করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোনালির পরিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রামণ করে যে সোনালি এই দেশেরই নাগরিক। আর সেই কারণেই তাঁর সন্তানও ভারতীয়। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সুপ্রিম কোর্ট সোনালি ও তাঁর সন্তানকে ভারতে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রকে। সেইমত সোনালি ও তাঁর সন্তানকে এই দেশে ফোরানো হয়। এই ঘটনার পরই তৃণমূলের তরফে দাবি উঠেছে বাকিদেরও দেশে ফেরাতে হবে।