সংক্ষিপ্ত

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য সরকার। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই কর্মবিরতির কারণে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা এই দাবি অস্বীকার করেছে।

আরজি কর ইস্যুতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে রাজ্যের স্বাস্থ্যপরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও সুপ্রিম কোর্টে একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি রাজ্যের দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতের কারণে রাজ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও আদালতে কপিল সিবাল বলেন, মৃত্যু হয়েছে। ২৩ জনের। কিন্তু রাজ্যের এই স্টেটাস রিপোর্টের পাল্টা সওয়াল করতে শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে ক্ষতি

রাজ্যের স্টেটাস রিপোর্টঃ

রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তাররা ২৮ দিন ধরে গণছুটিতে রয়েছে। তাতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায়। রিপোর্টে বলা গয়েছে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেসিডেন্ট ডরক্টরাই হলেন মেরুদণ্ড। স্বাস্থ্যদফতরের কথায় এই কর্মবিরতির কারণে ভুগতে হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে।

স্বাস্থ্য দফতরের দাবি- রাজ্যের ৬ লক্ষের বেশি মানুষ বহির্বিভাগের পরিষেবা পাননি এককয়েকটা দিন। নিত্যদিন বহির্বিভাগে ৭০ হাজার মানুষ আসতেন। কিন্তু গত কয়েক দিনে সেই সংখ্যাটা নেমে এসেছে ৪০ হাজারে। স্টেটাস রিপোর্টে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য সচিব একাধিকবার আন্দোলনকারীদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন। আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। কিন্তু তারা নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।

রাজ্যের স্টেটাস রিপোর্ট নিয়ে বক্তব্য

সরব হয়েছে জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাঁদের কথায় তাদের আন্দোলনের জন্য যদি স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে বলে যে দাবি তুলেছে রাজ্য তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এক জুনিয়ার ডাক্তার জানিয়েছেন, রাজ্যে মাত্র ২৬টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। সেখানেই আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু বাকি হাসপাতালস সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, ব্লক হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে কী হচ্ছে?

জুনিয়ার ডাক্তারদের কথায় তাদের পরিষেবা দেওয়ার কথাই নয়। তারণ কারা শিক্ষানবিশ। কিন্তু বাধ্য হয়েই তাঁদের পরিষেবা দিতে হয়। রাজ্যে সিনিয়র ডাক্তার নিয়োগ করা হয়। বহু পদ ফাঁকা রয়েছে। রাজ্য সরকার যদি মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে তাহলে দ্রুত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করা জরুরি। চিকিৎসক নিয়োগ করা জরুরি।

রাজ্যের এক প্রবীণ চিকিৎসকগের কথায় রাজ্যের কথায় তিনি অত্যন্ত হতাশ। তিনি বলেন জুনিয়র ডাক্তাররা কখনই স্বাস্থ্য পরিষেবার ভিত্তি হতে পারে না। তাদের জন্য রোগীর মৃত্যু হচ্ছে বিনাচিকিৎসায় এটা ঠিক কথা নয়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন পরিকাঠামো নিয়ে। তাঁর প্রশ্ন কেন কোন্ননগর থেকে সামান্য সিটিস্ক্যান করানোর জন্য কেন রোগীকে কলকাতায় পাঠাতে হচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।